[ম্যাক নিউজঃ–স্টাফ রিপোর্টার]
ইউপি নির্বাচনী দ্বন্দ্বে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুলামিনের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দাউদকান্দি উপজেলার ইউনিয়নের সম্বুরদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, ‘গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে দাউদকান্দির বর্তমান চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনের সমর্থক ও জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরী। অভিযোগ আছে টাকা নিয়েও নির্বাচনে মহিন উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেননি আওয়ামী লীগ নেতারা। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে তৈরী হয় ক্ষোভ।
শনিবার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াতে যান কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুলামিন। বিকেলে সেখান থেকে ফেরার পথে বিক্ষুব্ধ ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকরা হামলা চালান জেলা সভাপতির গাড়িতে।
এসময় গাড়িতে ছিলেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুলামিন, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব লিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ মহিউদ্দিন সিকদার, জেলা সভাপতির ব্যক্তিগত সহকারী ও গাড়ির চালক। ঘটনায় জেলা সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করা হলেও, কেউ আহত হননি।
দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ মহিউদ্দিন সরকার জানান, বিয়ের দাওয়াত থেকে আসার পথে শুণি ইউপি চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনের সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা করবে। এসময় আমরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করতে চেস্টা করি। কিন্তু তারা আমাদের গাড়িকে লক্ষ্য করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। জেলা সভাপতির গাড়িটি ভেঙে ফেলে ও জেলা সভাপতিসহ আমাদের আঘাতের চেস্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রাণে বেঁচে যায় নেতাকর্মীরা।
অভিযোগের বিষয়ের দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে ক্ষোভ তৈরী হয়, এটা সঠিক। তবে শনিবারের ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না, এলাকায়ও ছিলাম না। আমি শুণেছি ঘটনার এক ঘন্টা পর। এই ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত।
হামলার স্বীকার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমিন জানান, দাউদকান্দির দৌলতপুর ইউনিয়নে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বসির উল্লাহ মিয়াজী কে খোঁজার জন্য স্থানীয় কয়েকজন ধাওয়া করে। না বুঝে আমার গাড়ী ও আমার সাথে থাকা লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের এই নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
কেন হামলা করা হলো গাড়িতে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,’ইউপি নির্বাচন নিয়ে হয়তো থানা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকদের দ্বন্দ্ব ছিল। বিষয়টা আমি পরে জেনেছি৷ সেই ক্ষোভ থেকেই ওদের খোঁজতে গিয়ে আমার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।