[ম্যাক নিউজ রিপোর্টে:-মারুফ আহমেদ।।]


কুমিল্লার লালমাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশির ওপর হামলা করে মা-বাবাসহ ছেলেকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ পেরুল ইউনিয়নের দৌশারী চৌঁ গ্রামে আবু তাহেরের বাড়িতে এ হামলা ঘটে।

ঘটনার পর পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে। হামলায় আবু তাহের, তার স্ত্রী ও ছেলে কামরুজ্জামান রাসেল আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাসেল দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ-এর এইচআর অ্যাডমিন পদে কর্মরত।


এ সময় তাহেরসহ পরিবারের সদস্যদের মারধর ছাড়াও বাড়িঘরে হামলা ও নিরাপত্তা বেড়া ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের পরে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাসেলের দুই পা গুরুতর আঘাত পেয়েছে।

হামলার সঙ্গে প্রতিবেশী আমানত উল্লাহ ও তার ভাই জাহাঙ্গীর এবং আবদুল মজিদ ও তার ভাই মিজানুর রহমান জড়িত বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হুমকি-ধমকির অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আবু তাহের।

বিরোধের বিষয়ে আবু তাহের জানান, প্রতিবেশী আমানত উল্লাহ ও তার ভাই জাহাঙ্গীর এবং আবদুল মজিদ ও তার ভাই মিজানুর রহমানের সাথে ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন সময় জায়গাজমি নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে। মাঝখানে সব ঠিকঠাক হয়েছিল। কিন্তু এক ১৪ বছর পরে আবার জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলা শুরু করেছেন তারা। বাড়ির নিরাপত্তায় চারপাশে দেওয়া টিনের বেড়ার সীমানা নিয়ে তারা বারবার বাগবিতণ্ডায় জড়ান।

তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকির কারণে চলতি এপ্রিলের শুরুর দিকে চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় জিডি করেন তিনি। জিডির পরে পুলিশ এসে তদন্ত করে গেলেও সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। কিছুদিন নিরব থাকলেও আবার ঝামেলা শুরু করেছে তারা।
এদিকে শুক্রবার জায়গা মাপার জন্য আমিন নিয়ে আসে দুইপক্ষ। পুরো জায়গা মাপা শেষ হওয়ার আগেই প্রতিবেশীরা লোকজন নিয়ে এসে আবু তাহেরের বাড়ির টিনের বেড়া ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় ছেলে রাসেল তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষর লোকজন। সন্তানকে রক্ষায় এগিয়ে এলে আবু তাহের ও তার স্ত্রীকেও মারধর করা হয়।

কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, পত্রিকা অফিসে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম। পরে বাবার সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের বসত ভিটা মেপে সীমানা ঠিক করছিলাম। এ সময় প্রতিবেশিরা ৭-৮ জন লোক নিয়ে এসে আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালান। আমি এই ঘটনার ভিডিও করছি দেখে আমার উপর হামলা শুরু করে। এ সময় আমাকে উদ্ধার করতে এলে বাবা-মাকেও মারধর করে তারা। আমি চিকিৎসা শেষে থানায় গিয়ে এ বিষয়ে মামলা করব।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় চৌঁ গ্রামে গিয়ে থমথমে অবস্থা দেখা গেছে। তবে কথা বলা মতো প্রতিবেশীদের কাউকে বাড়ির বাইরে পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন নম্বর না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কারও মন্তব্য নেওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ করলে বিষয়টি আমি দেখব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *