[ম্যাক নিউজ রিপোর্টে:- কুমিল্লা প্রতিনিধি।।]
কুমিল্লা নগরীর ঢুলিপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতিকে কুপিয়ে আহত করেছে মাদক কারবারীরা। গুরুতর আহত ছাত্রলীগ সভাপতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও ভোক্তভোগি পরিবার জানায়, এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় গতকাল (৩০এপ্রিল) রবিবার দুপুরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের ডুলিপাড়া এলাকায় মাদক কারবারি শাহ আলম ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত ছাত্রলীগ নেতা সুজন ঢুলিপাড়া এলাকায় ফরিদ উদ্দিন আহামেদ এর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ১৯ নং ওয়ার্ডের সকল যুব সমাজ মিলে মাদকের বিরুদ্ধে সভা করে। মাদকের বিরুদ্ধে সভা করার জের ধরে রবিবার দুপুরে ডুলিপাড়া চৌমুহনীতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা নুরুজ্জামান সুজনের উপর হামলা করে শাহ আলম নামের এক মাদক কারবারি।হামলায় সুজনের পেটে এবং হাতে মারাত্মক ভাবে যখম হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত সুজনকে উদ্ধার কুমিল্লা মেডিকেলে নিয়ে যায়। শাহ আলম নগরীর চর্থা এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ডুলিপাড়া কাটুন ফ্যাক্টোরির উল্টো পাশে শাহ আলমের একটি টর্চার সেল রয়েছে। যেখানে প্রতিদিনই অটোরিকশা ড্রাইভার এবং সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে এবং এখান থেকেই সে মাদক সরবারাহ করে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা নুরুজ্জামান সুজন বলেন, আমরা ১৯ নং ওয়ার্ডের সকল যুব সমাজ উদ্যোগ নিয়েছি আমাদের ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত করবো। এরই মধ্যে আমরা কয়েকটি সভা করেছি এবং মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করার জন্য কাজ করছি। আমাদের এই উদ্যোগের কারণে থিরাপুকুর পাড়ের শাহ আলমের মাদক ব্যবসা করতে কিছুটা সমস্যা হয়। শাহ আলম আমাকে কয়েকবার হুমকি দিয়েছে আমি শুনি নাই তাই আজকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা করে। হামলার পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে হসপিটালে নিয়ে আসে। হামলার পরপরই আমি চকবাজার ফাঁড়ির এস আই রুবেলকে ফোন করি সে এসে দেখে গেছে এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করার জন্য বলে গেছে।
১৯নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. সাফায়েত বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পর থেকেই শাহ আলম আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ডুলিপাড়া কাটুন ফ্যাক্টোরির উল্টা পাশে তার একটি টর্চার সেল আছে। সেখানে অটো ড্রাইভার, রিক্সা ড্রাইভার এবং সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। এখান থেকে সে মাদক সাপ্লাই করে। আমরা তার এই অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সে আমাদের উপর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে আমাদের জীবন সংকটাপন্ন তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে শাহ আলমকে মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক নাইমুল হক হিলেম বলেন, শিক্ষা শান্তি প্রগতি ছাত্রলীগের মূলনীতি এ বিশ্বাস নিয়ে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী কাজ করে। মাদক কারবারিরা সমাজের উঠতি তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। ছাত্রলীগ সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। ছাত্রলীগ নেতা সুজনও মাদক ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্য নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। মহানগর ছাত্রলীগ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।