[ম্যাক নিউজ রিপোর্টে:- কুমিল্লা প্রতিনিধি।।]
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে এক প্রবাসীর বাড়ির চলাচলের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সরসপুর ইউনিয়নের সরসপুর নেহার বাড়িতে (পূর্ব পাড়া ক্বারী সাহেবের বাড়িতে) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রবাসী মোঃ শাহ জাহান শনিবার (১৩ মে) তার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে প্রবাসী মোঃ শাহ জাহান বলেন, ২০০৯ সালে বাড়ির রাস্তার জন্য তার চাচা সাফায়েত উল্লাহর কাছ থেকে দেড় শতক জায়গা ক্রয় করেন। কিন্তু প্রবাসে থাকার সুবাদে পার্শ্ববর্তী আবদুস সাত্তার ওই চলাচলের রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করেন। এ সময় আমি প্রবাস থেকে মুঠোফোনে বাধা দিলে সে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৮ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি টাকা প্রদান করলেও তিনি দেয়াল তুলে নেননি। বারবার তাগাদা দিলেও কর্ণপাত করেননি। প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনের মাধ্যমে তাকে দেয়াল তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি কালক্ষেপন করতে থাকেন। দীর্ঘদিন পর আমি দেশে ফিরে এসে স্থানীয় সর্দার ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলে কয়েক দফা সালিশ হয়।
একপর্যায়ে সালিশের সিদ্ধান্ত মতে, দেয়াল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও আবদুস সাত্তার আবারো কালক্ষেপন করতে থাকেন। পরে উপায়ান্তর না দেখে আমার ক্রয়কৃত রাস্তার জায়গায় নির্মিত দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলি। এ সময় আবদুল সাত্তার কোন ধরণের বাধাঁ দেয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। আমিও ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের প্রার্থী হলে মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন, লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সরসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানসহ ব্যক্তিবর্গ সরেজমিন পরিদর্শন করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ নুরুল আমিন, মাওলানা জাকারিয়াসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুস সাত্তার বলেন, আমার পৈত্রিক জায়গায় আমি দেয়াল তুলেছি। ওই সময়ে দেয়াল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ শাহজাহান ৮ হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি টাকা দেননি। এজন্য দেয়াল ভাঙ্গিনি।
এ ঘটনায় লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি সুরাহার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন আমাকে ও স্থানীয় সরসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে শাহজাহানের মালিকানা কাগজপত্র পেয়েছি। আবদুস সাত্তার কোন কাগজ পত্র দেননি। উভয় পক্ষের দলিলাদি দেখে বিষয়টি সহসা সমাধান করা হবে।