[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- মোঃমোশারফ আলম
ত্রিশাল,ময়মনসিংহ]
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.সৌমিত্র শেখর এর সাথে পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত সময়ের ব্যবস্থাগ্রহন করার জন্য বৈঠক করেছেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিসুজ্জামান।
এসময় উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর মেয়র ও উপস্থিত সবাই কে আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন।
উল্লেখ্য যে, মাটি ভরাট করার কারণে পৌরসভার সহ পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সমস্ত পানি সুকনী বিলে প্রবাহিত হত। কিন্তু এখন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণ ও মাটি ভরাট করায় পানি কোন দিকে যেতে পারছেনা। সামনে যখন ভারি বর্ষন হবে । তখন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
আর এতে মাথায় হাত পরেছে ত্রিশাল পৌরসভার সহ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকের। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হবে প্রায় ২শত বিঘা জমির ধান। বতর্মানে যত্ন করে লাগানো কৃষকের স্বপ্ন এখন পানির নিচে। পৌর এলাকার বেশীর বাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল এই এলাকায় এমন অবস্থা চলতে থাকলে দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে এই গ্রামগুলোর মানুষেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আর কিছুদিন পরেই ধানগুলো ফুটে উঠতো। ইতিমধ্যে সার ও কিটনাশক বাবদ অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছেন অনেক কৃষক। কিন্ত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বাধ দেয়া হয়েছিল, সেই বাধ দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে ধানের জমিতে।
পৌরসভার এবং গ্রামের পানি এসে জমে শুকনি বিলে।
পানি নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় কৃষকরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও এর কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা কৃষক।
অনেক কৃষক জমিতে পানি থাকায় ধান লাগাতে পারছেনা।পানির মধ্যে গাছগুলো নস্ট হয়ে যায়। তাই খুব দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সৌমিত্র শেখরকে বাধ কেটে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই পৌর এলাকার কৃষকেরা।
পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন
পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, শুকনি বিল ঘেষে আমি ৫ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। বৃষ্টির পানি বের হতে না পারায় ধানগুলো ডুবে গেছে। আর কিছুদিন পর ধানগুলো ফুলতো।
যদি বিলের পানি নিস্কাশন না হয় তাহলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। বছরের পর বছর এভাবে চলতে থাকলে আমরা কোনদিনই লাভবান হতে পারবোনা। তাই শুকনি বিলের বাঁধ কেটে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, তিনি ১০ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি শুকালে জমিতে এখন মরা গাছ পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার মেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান (আনিছ) জানান, পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক গ্রামের কৃষকের প্রায় ২শত বিঘা জমির ধান পানির এখন নিচে। এলাকাবাসী আমার কাছে এসেছিল তাই আমি নিজে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করলেও কোন সুরাহা করেননি।তাই আজকে আমি নিজেই উপাচার্যের সাথে সরাসরি কথা বললাম এবং তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন আগামী দুই দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী বলেন, পৌর এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষর সাথে কথা বলে বাঁধ কেটে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।