[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- মাহফুজ বাবু কুমিল্লা]


কুমিল্লা বুড়িচংয়ে একটি বেসরকারি মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ কর্তৃক ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রী বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মুফতী লম্পট শরিফুল ইসলাম (আলিপুরী) কে আটক করেছে পুলিশ। সে আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের গোপালসার (অলীপুর) গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা বুড়িচংয়ের ময়নামতি ফরিজপুর এলাকার ময়নামতি মডেল মাদ্রাসায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মায়ের লিখিত এজহার ও থানা পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত ১৩ জুন দিবাগত গভীর রাতে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় ১২বছর বয়সী শিক্ষার্থী সুমি (ছদ্মনাম) কে ধর্ষণ করে। সকালে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়। ঘটনার কিছু না বুঝলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব করে। রাতের এ ঘটনা অপর এক শিক্ষার্থী দেখতে পেয়ে বিষয়টি ভুক্তভোগী ছাত্রী ও অধ্যক্ষের স্ত্রী কে জানায়। পরে অধ্যক্ষের স্ত্রী সকল শিক্ষার্থীকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে বিষয়টি ভুক্তভোগী সুমি’র অভিভাবক কে অবহিত করেন অধ্যক্ষের স্ত্রী। ঘটনাটি জানাননি হলে অসুস্থ মেয়েকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তার মা আরো জানান, “মেয়ে শরিফুল হুজুরের মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে লেখাপড়া করতো। মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষের সিটকিরি আগে থেকেই ভাঙ্গা ছিলো। সর্বশেষ ১৪জুন ভোর রাতে এবং এর আগে আরো বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে ধর্ষণ করছে। আমি এই লম্পটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি লর দাবি জানাই”

এবষয়ে ভুক্তভোগীর মা আমিরজান বেগম বাদী হয়ে ২০জুন দুপুরে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই হাসান জানান, খবর পেয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গিয়ে ভুক্তভোগীর জবানবন্দি, চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছি। মঙ্গলবার দুপুরেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম কে আটক করা হয়েছে। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *