[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ কুমিল্লা।]
ঘটনার সত্যতা পেলে হোটেল গুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হবে- ডিসি
এসব হোটেল গুলোতে নিয়মিত টহল দেওয়া হবে- র্যাব কমান্ডার
কুমিল্লার ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে নারী যৌনকর্মীদের আনাগোনা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে বিপথগামী হচ্ছে উঠতি বয়সী তরুণ যুবক। কুমিল্লার সুনামধন্য কয়েকটি স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মেয়েরাও টাকার লোভে এসব অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়। অনৈতিক কার্যকলাপের পাশাপাশি তারা মাদক সেবন করে নিজের আত্মতৃপ্তি মেটায়।
কুমিল্লার সাথে ঢাকা-চট্রগ্রাম সহ সমগ্র দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত থাকায় কতিপয় একটি দালাল চক্র দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যৌনকর্মীদের প্রতিদিন ভাড়া করে নিয়ে আসে এবং তাদের দিয়ে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছ। ফলে স্থানীয় যুব সমাজ, স্কুল-কলেজের পড়ুয়া শিক্ষার্থী, সিএনজি, অটো-রিক্সা ও ভ্যান চালকসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি যুবক থেকে মধ্যবয়সীরা এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি আসক্ত হয়ে পরছে। কুমিল্লার সচেতন মহল ও অভিভাবকরা অবাধে এসব অনৈতিক কাজকর্ম ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সরেজমিনে জানা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে আমতলী এলাকার হোটেল তিতাস, জাগুরঝুলি এলাকার হোটেল ভিশন, বৈশাখী, রয়েল, কুমিল্লা হাইওয়ে, হোটেল রাজধানী, নীল পদ্ম (সাততলা)সহ আরও কয়েকটি আবাসিক হোটেল প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে চলছে দেহ ব্যবসা ও মাদকের আড্ডা। গত কয়েক বছরে এসব হোটেল গুলোতে একাধিকবার র্যাব, পুলিশ প্রশাসন অভিযান করে বন্ধ করার পরও কয়েকদিন পর পুনরায় হোটেল মালিক শান্তসহ কয়েকজন মিলে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর অবৈধ দেহ ব্যবসা ও মাদকের আড্ডা চালিয়ে রাতারাতি তারা হয়ে যাচ্ছে কোটিপতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, সকল হোটেল গুলোর সামনে কয়েকজন দালাল থাকে তারা ডেকে ডেকে মানুষদের ভেতরে নিয়ে যায়। ভেতরে গেলেই দেহ ব্যবসা ও মাদকের আসর জমায়। আর প্রশাসনের লোকজন বিকেলে বা সন্ধায় এসে হোটেল মালিকদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে যায়। আর এই অর্থের বিনিময়ে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে আর কেউ তাদের বাধা দেয়না।
আরও কয়েকজন বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ না করে এমন জগন্য কার্যকলাপ চালানো কখনো সম্ভব নয়। প্রশাসনের কয়েকটি সংস্থা যখন এসব অভিযোগে হোটেল গুলোতে অভিযান চালায়, তখন তারা খবর পেয়ে সকল মেয়েদেরকে বিশেষ কয়েকটি কক্ষে রেখে দেয়। এসব চোর-পুলিশ খেলা বন্ধ করে হোটেল গুলো জরুরী বন্ধ করা প্রয়োজন।
কুমিল্লা র্যাব কোম্পানির অধিনায়ক এ কে এম মুনিরুল আলম বলেন, মাদকের বিষয়ে কারও ছাড় দেওয়া হবেনা। এসব হোটেল গুলোতে নিয়মিত টহল দেওয়া হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, এমন অসামাজিক কার্যকলাপ কুমিল্লায় চলতে দেওয়া হবেনা। এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের সত্যতা পেলে হোটেল গুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।