[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি]
মুক্তিযোদ্ধা জাতির অহংকার। তাঁরা দেশের সংকটে নিবেদিত প্রাণ। মুক্তির সংগ্রামে অংশগ্রহণকারীর মধ্যে অনেক বীর শহীদ হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ পত্র নং ০১১৯০০০৭৩০৬ নায়েক শহিদুল ইসলামের বিধবা স্ত্রী লুৎফন নেছা তার সন্তানদের নিয়ে এখন দিন কাটছে আতঙ্কে। গোটা পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি আর ভিটে থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে করতে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। জীবন রক্ষার্থে নিজের ভিটা ছেড়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ চাঙ্গিনী এলাকায় অন্নের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মেয়েদের নিয়ে বসবাস করছেন।বিধবা স্বামীর বাড়ি চান্দিনার এতবারপুর হলেও স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে স্বামীর বাড়ির লোকেরা পিছু ছাড়ছে না। ইতিমধ্যে স্বামীর বাড়ির কামাল উদ্দিন স্বপনের স্ত্রী কাজলের নেতৃত্বে রনি, জনি, বাবু, বাহার, শাহানাজ, বিউটি ওই মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী লুৎফর নেছার সম্পত্তি ভোগ দখল করে রেখেছেন এতে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরজমিনে গিয়ে এমন তথ্যও পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী লুৎফর নেছা জানান, দীর্ঘ বছর ধরে তিনি অসুস্থ অবস্থায় স্বামীর বাড়ির লোকের অত্যাচার সইতে না পেরে বাবার দেওয়া সম্পত্তির উপর মেয়েদের নিয়ে শ্রীমন্তপুর গ্রামের একটি টিনের ঘরে বসবাস করেন। তার চার কন্যা বিয়ের পর স্বামীর সংসারে থাকলেও একটি মেয়ের স্বামী অসচ্ছল হওয়াই তাকে নিয়ে বার্ধক্যজনিত অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে একা থাকার সুযোগে একই গ্রামের কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আমার পিতার নামীয় জমি আমার ভাই গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে বশির আহমেদ, শিমুলরা তাকে বাড়িতে থাকতে দেয়না। সারে তের শতক জমিসহ অধিকাংশ জায়গা জোর দখল করে নিয়েছে। এমনকি ভাইদের থেকে ০৭ শতক জায়গা কিনার পর সেই জায়গাতেও থাকতে দেয়না।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ১৯৮৪ সালের পর থেকে দীর্ঘ ৩৯বছর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা সদস্যের বিধান স্ত্রী হয়েও লুৎফন্নাহার বার বার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বসতবাড়ি জোর করে নামেমাত্র মূল্যে ক্রয় করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। তাতে রাজি না হওয়ায় তারা চাঁদা দাবি করে আসছে। দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ করতে না পারায় বাড়িতে বসবাস করতে দেয়না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্থানীয় প্রতিনিধির ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পর তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা কোন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেনি। পরে তিনি গত ৬ আগস্ট ২০২৩ ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী মেয়েদের নিয়ে বিচার পেতে সাংবাদিকদের নিকট দারস্থ হয়েছেন৷ এমনকি কুমিল্লা আদালতে স্বামীর বাড়ির সম্পত্তি, বাবার বাড়ির সম্পত্তি বুঝে পেতে ও নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।