[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- নিজস্ব প্রতিবেদক]
কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশন থেকে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোর টুল ভ্যানের মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোববার (২৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম রেলওয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় ও রেল সূত্র জানায়, রেলের দুঘর্টনাকবলিত বগি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বহন ও সংরক্ষণে এ বিশেষ বগিটি ব্যবহার করা হয়।
এ রেল বগিটি রেলওয়ে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোর ইনচার্জ ট্রেন এক্সজামিনার (হেড টিএক্সআর) এবং ওই বিভাগের স্টোর মুনসির দায়িত্বে থাকে। এটি প্রতিদিন সকাল ৯টায় ও বিকেল ৫টায় দুইবেলা হেড টিএক্সআর ও স্টোর মুনসির চেক করার কথা রয়েছে। এ বগিটি দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ে জংশনের উত্তরপাশে সংরক্ষিত একটি পকেট লাইনে রাখা হয়েছিল।
শনিবার (২৬ আগস্ট) ৪ নম্বর আপ সমতট এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪০১ নম্বর কোচ মেরামতের জন্য দুপুর ১২টার দিকে জ্যাক স্ক্রুসহ মালামাল আনতে এটিএক্সআর কফিল উদ্দিন ও ফিডার স্টাফ হরে কৃষ্ণ গিয়ে দেখেন তালাটি ভাঙা। পরে তারা ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন টুল ভ্যানে জেনারেটর ও কাঠের কয়েকটি স্লিপার ছাড়া কিছুই নেই। এসময়ে ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোর টুল ভ্যানের দায়িত্বে ছিলেন সদ্য বিদায়ী লোকো ইনচার্জ ফোরম্যান মো. সোলেমান ও স্টোর মুনসি হাসান আহমেদ পলাশ। এ ঘটনায় শনিবার রাতে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হেড টিএক্সআর জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রেলওয়ে কর্মকর্তা দাবি করেন, এ চুরির অভিযোগ রহস্যজনক ও সাজানো। তাদের দাবি, এ বগিটি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অফিসের পাশে ছিল। পাশাপাশি সেখানে রেলওয়ের বাউন্ডারি রয়েছে। মালামাল কখন চুরি হলো এ বিষয়ে কেউ কিছুই বলতে পারছেন না। কেবল ধারণা করছেন। তারা আশা করেন, পুলিশ প্রশাসন ভালোভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে। এই টুল ভ্যান থেকে অন্তত ৫০টির অধিক মালামাল চুরি হয়েছে।
এ বিষয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, মালামাল চুরির ঘটনায় লাকসাম রেলওয়ে থানায় হেড টিএক্সআর জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত শেষ না করে এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. আবিদুর রহমান বলেন, কত টাকার মালামাল চুরি হয়ে তদন্ত ছাড়া এখনই বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. রাজিব ফেরদৌসকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ঘটনায় চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।