[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- কুমিল্লা প্রতিনিধি।]

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিল্লাল হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যুর স্থান নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে করে নিরীহ গ্রামবাসী হয়রানির শিকার হচ্ছে।

মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তেতাভূমি গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ সুমন মিয়াসহ গ্রামবাসী।

গ্রামবাসীরা জানায়, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা তেতাভূমি গ্রামের মোঃ মানিক মিয়ার দোকানের সামনে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ এলাকার মৃত আ: রশীদের ছেলে বিল্লাল হোসেন অসুস্থ্য হয়ে পরে।

এসময় মানিক মিয়া বিল্লাল হোসনকে তার দোকানে নিয়ে বাসায়, বিল্লালের শরীর আরো খারাপ হলে দোকানের পাশে মানিক মিয়ার বোনের ঘরে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়।

সেখানে বিল্লাল হোসেনের অবস্থার অবনতি দেখে গ্রাম্য ডাক্তারকে খবর দেয়। ডাক্তার এসে বিল্লাল হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। তাৎক্ষনিক ভাবে মানিক মিয়া ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ, স্থানীয় শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বারকে অবগত করেন।

খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ নিহতের পরিবারের উপস্থিতিতে পুলিশ মানিক মিয়ার বোনের ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এদিকে পরদিন দৈনিক কুমিল্লার কাগজ, ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও ফেসবুকে খবর আসে মনির হোসেনের ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মুলত মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে মনির হোসেনের বাড়ী প্রায় আধা কিলোমিটার দুরে।

পত্রিকায় মনির হোসেনের নাম ছাপা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মনির হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে তাকে খুজতে থাকে।

ভূক্তভূগি মনির হোসেন বলেন, ঘটনার সময় তিনি মাঠে ছাগল নিয়ে জমিতে কাজ করতে ছিলেন। মানিক মিয়া তাকে ফোন দিয়ে মৃত্যুর খবর জানায়।

এ বিষয়ে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ সুমন মিয়া বলেন, মরদেহটি তার সামনেই মানিক মিয়ার বোনের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, মানিরের ঘর থেকে নয়।

দোকানে মালিক মানিক মিয়া বলেন, নিহত বিল্লাল হোসেন তার দোকানের সামনে অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে ঘরে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেন তিনি। পরে তার বোনের ঘরেই বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। মানিরের ঘরে মৃত্যুর খবর কেন পত্রিকায় ছাপা হলো তিনি জানেন না।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক তদন্ত মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতেই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। যে ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে সে ঘরের ছবি ভিডিও আছে। পত্রিকায় কেন ভূল নাম ছাপিয়েছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরাই ভালো বলেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *