[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- কুমিল্লা প্রতিনিধি]
কুমিল্লার মুরাদনগরে মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন মোঃ নাছির মিয়া হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর ২০২৩) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর দক্ষিণ পাড়া মৃত রোশন আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া (৩৮)
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১০টায় নাছির ঘটনাস্থলে ঘুমিয়ে ছিল। পরদিন মসজিদের ইমাম আবদুল মোমেন এর মাধ্যমে বাদী জানতে পারে যে, মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন মৃত মোঃ নাছির মিয়া পাগল (৩৮) মুরাদনগর বাখরনগর দক্ষিণ পাড়া হাজী মোঃ ধনু মিয়া সওদাগরের নির্মানাধীন ২য় রুমে নাছিরের মৃত দেহ পড়ে আছে। আসামী সোহাগ মিয়া (২৫) ঘটনার দিন রাত ১১টায় মোঃ জসিম উদ্দিন (৪০) ও মোঃ সেন্টু মিয়া (৩০) দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ঐদিন রাতে নাছিরের বাবা কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ীর মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ আঃ আউয়াল (৬৫) বাদী হয়ে একই জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর দক্ষিণ পাড়া মৃত রোশন আলীর ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়া (২৫) কে একমাত্র আসামি করে মুরাদনগর থানায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে পরদিন আসামি গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বোরহান উদ্দিন মজুমদার ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামী সোহাগ বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ০৪ ফেব্রুয়ারী দণ্ডবিধির ৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২ ধারার বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-২৪)। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসিলে ২০২২ সালের ২২ জুন দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করিলে রাষ্ট্রপক্ষে মানীত ২৫জন স্বাক্ষীর মধ্যে ০৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানী অন্তে এবং স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ধারার বিধানমতে দোষী সাব্যস্তক্রমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশ থাকে যে, আসামি সোহাগ মিয়া ২০২১ সালের গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অধ্যাবদি জেল হাজতে আটক আছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিজ্ঞ জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।