[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- মারুফ আহমেদ, কুমিল্লা।]


কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, সশস্ত্র ডাকাত দল ব্যবসায়ীর হাত-পা বেঁধে মারধর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট নেয়। বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ জানায়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১ নং কালিবাজার ইউনিয়নের বুধুইর গ্রামে গনি মৈশানের বাড়িতে নুরুল হকের ঘরে গত বুধবার দিবাগত (১২/১০/২৩) রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখ বাধা সশস্ত্র ( দা,ছেনি, পিস্তল, রানদা, চাপাতি ইত্যাদি) ৭/৮জনের ডাকাত দল ঘরে ঢুকেই আমার এবং আমার স্ত্রী’র ও আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী’কে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা জিম্মি করে এবং আমার হাত বেধে ফেলে।

আমরা চিৎকার দিতে চাইলে আমাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে। পরে ঘরের আলমারি, ওয়ারড্রব, ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভাঙচুর করে।
আমার ওরে রক্ষিত নগদ আড়াই লক্ষ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার সহ আধা ঘন্টা তান্ডব চালিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
আমরা যেন চিৎকার করতে না পারি যাওয়ার সময় বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে যায়।

ঢাকাত দল চলে যাওয়ার পর আমাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। ততক্ষণে ডাকাত দল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

পরে এ রাতে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে যায়।
সাংবাদিকের প্রশ্ন উত্তরে আব্দুল আহাদ জানান, আমি থানায় মামলা করতে গেলেও এ বিষয়ে পুলিশ মামলা নেয়নি।
পুলিশ বলেন আমরা মামলা ছাড়াই ডাকাতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি।

আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই, দ্রুত ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে আমাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান মালামাল ফেরত পাওয়ার সহযোগিতাও কামনা করছি।

অন্যদিকে, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে একই ইউনিয়নের আনন্দপুর মোল্লা বাড়ির আলী আশ্রাফ’র ঘরে, পাটোয়ারী বাড়ির প্রবাসী কামাল হোসেনের ঘরে ও মধ্যের বাড়িতে সহ একই একই রাতে ৩টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১০/১২ জনের ডাকাত দল হাফ প্যান্ড ও মুখে মাস্ক বেঁধে ঘরের লোকজনদের অস্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

তার দু’দিন আগে ওই এলাকার আলী হোসেনের ঘরেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।
আন্দপুর এলাকার মেম্বার আব্দুল মান্নান জানায়, ইদানিং চুরি-ডাকাতি বেড়ে গেছে, তাই আমরা এলাকাবাসী মিলে এখন রাতে গ্রাম পাহারা দেই।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমরা ডাকাতির খবর শুনেছি, ডাকাত দলের সদস্যদের আমরা সনাক্ত করেফেলেছি, ডাকাতদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অভ্যাহত আছে। আশা করছি এ কয়েকদিনের মধ্যে আমরা ডাকাতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *