[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:-নিজস্ব প্রতিবেদক।।]


উপ-কমিটিতে চারবার সহ তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শওকত হোসেন খান মনির।

শনিবার (২১ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কমিটি অনুমোদন দেন ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

শওকত হোসেন খান মনির শিক্ষাজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং দলের দুঃসময়ের সংগঠক হিসেবে সুপরিচিত। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার নিজ গ্রামের স্কুল ছাত্রলীগের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক পথচলা শুরু। পরবর্তীকালে ঢাকা কবি নজরুল সরকারি কলেজে ছাত্রলীগে সক্রিয় অংশগ্রহণ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগে কার্যকরী সদস্য এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, ২০০১-০৬ সালে চার দলীয় জোট সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং ২০০৭-০৮ সালে সেনাশাসিত সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশিত দলীয় কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ও শওকত হোসেন খান মনিরের রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব ও অগ্রণী ভূমিকা।

যার ধারাবাহিকতায় এর আগে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য থাকাকালীন আওয়ামী লীগের সাবেক
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দীর নেতৃত্বে মানবিক কাজে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

শওকত হোসেন খান মনির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা পরিচালক।

মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে যখন লকডাউনে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে অসহায় হয়ে পড়ে, তখনই তার উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্লাটফর্মে বিনামূল্যে ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে টেলি মেডিসিন সেবা দেওয়া হয়।

প্রতিক্রিয়ায় শওকত হোসেন খান মনির বলেন, আওয়ামী লীগ বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে সংগঠনটিতে জনকল্যাণে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কমিটিতে আমাকে স্থান দেওয়ায় দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *