[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- নিজস্ব প্রতিবেদক]
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দুই দিন পর মালবাহী ট্রেনের চালক ও সহকারীসহ তিনজনকে আসামি করে নিহতের এক স্বজন মামলা করেছেন।
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন বুধবার মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন শিকদার।
আসামি হিসেবে মালবাহী ট্রেনের চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রেন পরিচালনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদেরও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নজরুল নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার সররাবাদ গ্রামের দর্শন মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ভৈরব পৌর এলাকার আমলাপাড়ায় থাকতেন। সোমবার বিকালে ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। মঙ্গলবার ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মামলার বরাতে ওসি আলীম হোসেন বলেন, “ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি আর তাচ্ছিল্য ছিল বলেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ ঘটনা ঘটত না। এত মানুষের প্রাণহানিও হত না।”
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন বলেন, “আমি আমার ভাইকে হারিয়েছি। অনেকে পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সদস্যকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের আর ফিরে পাব না।
“কিছু মানুষের খামখেয়ালির কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোনো দুর্ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হয় না। আর শাস্তি হয় না বলেই এগুলো বাড়ছে। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে আমি মামলাটি করেছি।”
সোমবার বিকালে ভৈরব বাজার স্টেশনের কাছে জগন্নাথপুর এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এগার সিন্ধুর এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কনটেইনারবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে এ পর্যন্ত ১৮ জনের প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন ৭০ জনের বেশি।
এ ঘটনায় কনটেইনারবাহী ট্রেনের চালক (লোকো মাস্টার), সহকারী লোকো মাস্টার ও পরিচালককে (গার্ড) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুর রহমান।