[ম্যাক নিউজ ডেক্স]
নাশকতার আশঙ্কায় রাতে চলাচলকারী লোকাল, মেইল ও কমিউটারসহ ছয়টি ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে চারটি ট্রেন চলাচল আগে থেকেই বন্ধ ছিলো।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করা কমিউটার ট্রেন, রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত উত্তরা এক্সপ্রেস, ইশ্বরদী থেকে রহনপুর পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এসব ট্রেনের মধ্যে চারটির চলাচল আগে থেকে বন্ধ ছিলো। নতুন করে উত্তরা এক্সপ্রেস ও ঈশ্বরদী থেকে রহনপুরে চলাচল করা কমিউটার ট্রেন বন্ধে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে বলা হয়, হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়ানোর জন্য পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা উত্তরা এক্সপ্রেসটির চলাচল ২২ ডিসেম্বর থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলো।
পার্বতীপুর-রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে চলাচল করা উত্তরা এক্সপ্রেস বন্ধের বিষয়ে পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, নাশকতা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এবং ইঞ্জিন সংকট থাকায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ট্রেনটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঈশ্বরদী থেকে রহনপুর কমিউটার রাজশাহী থেকে চলাচল করবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ট্রেনটি পাইলটিং করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি আগে যাবে পরে মূল ট্রেন যাবে। তবে ইঞ্জিন ও জনবলগুলো আন্তঃনগর ট্রেনে ব্যবহার করা হবে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে সিটি এনএসআই এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সিটি এনএসআইয়ের ১২ জন এবং র্যাবের ৫০ জন সদস্য রেলওয়ে স্টেশনের নিরাপত্তায় চৌকস নজরদারিতে নিয়োজিত রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। পুড়ে যাওয়া একটি বগি থেকে মা-শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে রেলে একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুরে রেল লাইন কেটে ফেলায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। নিহত হন একজন। আহত হন ১০ জনের বেশি।
১৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কমিউটার ট্রেনে আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। এতে ট্রেনটির দু’টি বগি পুড়ে যায়। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনটির আরেকটি বগি।
এছাড়াও ১৯ নভেম্বর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে এবং ২২ নভেম্বর সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা উপবন ট্রেনের একটি বগিতে আগুন দেয় নাশকতাকারীরা।