[রিপোর্ট:- রকিবুল ইসলাম ম্যাক কুমিল্লা]
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহরের একটি হাসপাতালে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কামাল হোসেন। শুক্রবার ভোরে তার নিজগ্রাম কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে নিয়ে আসা হয়। পরে সকাল ৮টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে ওই যুবকের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবকের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
কামাল হোসেন (৩৮) কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মেসতলা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৮টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম কিবরিয়া ওরফে টিপুর উপস্থিতিতে মরদেহ দাফন করা হয়। জানাজাও অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কামাল হোসেন ২ কন্যা সন্তানের জনক। প্রায় ৭ বছর আগে পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে কামাল হোসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। মাঙ্কি (এম) পক্সে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহরের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
কামাল হোসেনের বাবা নজির আহমেদ বলেন, প্রশাসনের নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে লাশ নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছি। শুক্রবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৮টায় গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে আমার ছেলের লাশ দাফন করেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.গোলাম কিবরিয়া বলেন, এম পক্স একটি ভাইরাস জনিত ছোঁয়াছে রোগ যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আমার জানামতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। আমরা কামাল হোসেনের পরিবারের ৮ সদস্যকে পর্যবেক্ষণ রেখেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া কামাল হোসেনের মরদেহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে। আমরা সেখানে উপস্থিত থেকে সার্বিক বিষয়ে খেয়াল রেখেছি যেন কেউ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করেন।