[ডেস্ক রিপোর্ট]

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা। বুধবার রাতে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের মধ্যম হাজিরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তারের বাবা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৩ বছর আগে মধ্যম হাজিরাপাড়া গ্রামের লোকমানের সঙ্গে সুমাইয়া আক্তারের (২৫) বিয়ে হয়। তাদের ২ বছরের একটি ছেলে আছে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্বামী লোকমান, শ্বশুর মনু মিয়া, শাশুড়ি সালেহা বেগম ও ননদ মানসুরা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে সুমাইয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। পারিবারিক কলহের মাঝে বুধবার বিকালে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন লাশ থানায় নিয়ে গেলে স্বামী লোকমানসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

নিহত সুমাইয়ার বাবা সেলিম মিয়া জানান, আমার মেয়েকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। সে আত্মহত্যা করেনি। আমি হত্যা মামলা করেছি। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার এবং বিচার দাবি করছি।

মা বিলকিস বেগম জানান, জামাইকে বিদেশ পাঠানোর জন্য আমি পুরো টাকা দিছি। মেয়েকে অত্যাচার করার কারণে যখন টাকা চাইছে তখনই টাকা দিছি। তার টাকা লাগলে টাকা চাইত। আমার মেয়েকে কেমনে হত্যা করল। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে বিচার চাই।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *