[ রিপোর্ট:- রকিবুল ইসলাম (ম্যাক) কুমিল্লা]
কুমিল্লায় মা-মেয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা
কবিরাজ মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতে
আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকা থেকে পালানোর সময় তাকে আটক
করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে নিহতদের ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ,
জামাকাপড় ও ঝাড়ফুঁকের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)

দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটককৃত মোঃ মোবারক হোসেন (২৯) কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলাপুর
গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও এলাকায় বসবাস করত। আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত
থাকার কথা স্বীকার করে মোবারক জানান, সে নিয়মিত ওই পরিবারের বাসায়
যাতায়াত করতেন। বিভিন্ন সময়ে সে ওই পরিবারের সদস্যদের ঝাড়ফুঁক
করত। ঘটনার দিন দুপুরে তিন ঘণ্টা ধরে পানি পড়া ও ঝাড়ফুঁক করার মাধ্যমে
মা মেয়েকে পৃথক কক্ষে অবচেতন করে ফেলা হয়। পরে সুমাইয়ার কক্ষে ঢুকে
তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এই সময় সুমাইয়ারর চিৎকারে তার মা তাহমিনা টের পেয়ে মেয়ের কক্ষের দিকে আসলে মোবারক মেয়ের দরজা টান দিয়ে বন্ধ করে মা তাহমিনাকে ধাক্কা
দিয়ে তার কক্ষে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মায়ের
মৃত্যু নিশ্চিত করে মোবারক আবার সুমিয়ার কক্ষে ঢুকে তাকে টিপে হত্যা করে।
হত্যার পর মোবারক নিহতদের মোবাইল ল্যাপটপ ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে
বাসা থেকে বের হয়ে যায়। সোমবার সন্ধার সময় ট্রেনে করে পালিয়ে যাওয়ার
সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে গত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী পিটিআই মাঠসংলগ্ন নেলী কটেজের দ্বিতীয় তলা থেকে
তাহমিনা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন
বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আরফিনের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।