[ রিপোর্টে :- রকিবুল ইসলাম (ম্যাক)]
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক মইন উদ্দিন অন্তর (১৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব–১১-এর অভিযানে ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব–১১, সিপিসি–২ কুমিল্লা এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রেস রিলিজে জানানো হয়, গত ২৫ নভেম্বর সকালে লাকসাম থানাধীন গণ্ডামারা এলাকার জবাইখানা সংলগ্ন ঢাকা–চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশে স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়।
নিহত যুবক লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে মইন উদ্দিন অন্তর। এ ঘটনায় নিহতের মা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব–১১ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন—মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ওরফে ক্যামেল (৩২), মো. ইসমাইল খান (২৫), মিলন হোসেন ওরফে ছোট মিলন (১৫), মো. হাসান ওরফে এমআই হাসান (২২)সহ আরও কয়েকজন। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, নিহত অন্তর স্থানীয়ভাবে ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করতেন এবং চুরি, ছিনতাই ও মাদক কারবারে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে মিশতেন। গ্রেফতারকৃতরা সবাই একই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের সঙ্গে অন্তরের চোরাই মাল ভাগবাটোয়ারা ও মাদক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুম করতে রেললাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়।
গ্রেফতারকৃত ৯ জনকে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব–১১ জানায়।
