[ম্যাক নিউজ ডেক্স]

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল বলেছেন, কোম্পানীগেঞ্জের তথাকথিত জনপ্রতিনিধি কোম্পানীগেঞ্জর অপরাজনীতির হোতা আবদুল কাদের মির্জা। যার কারণে কোম্পানীগঞ্জে বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা, যার নির্দেশে চর ফকিরা ইউনিয়নের শ্রমিক লীগ নেতা আলা উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। সেই তথাকথিত জনপ্রতিনিধি কাদের মির্জা লাইভে এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের চরিত্র হনন করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমি আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলছি ইসরাতুন্নেছা কাদের কোম্পানীগঞ্জ নিয়ে ১ সেকেন্ডের জন্য মাথা ঘামাননি। ওনার কোনো রাজনৈতিক বিলাসিতা নেই। উনি একটা ভদ্র মহিলা, তাকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে জনসম্মুখে। ওনার কতটুকু বিবেকবোধ আছে আজকে জনগণের কাছে আমার প্রশ্ন। ওনার বড় ভাই ওনার পিতার সমতুল্য, তাহলে ওনার ভাবি ওনার মাতার সমতুল্য। সে মাতাতুল্য ভাবিকে কীভাবে নোংরা ভাষায়, আমার মুখ দিয়ে বের করতে আমার বিবেক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে নোংরাভাবে কথা বলে হেয় প্রতিপন্ন করছেন। শুধু ওনাকে নয়, উনি আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যাকেও ছাড়েন নাই। পিতৃতুল্য ওবায়দুল কাদের সাহেবকেও ছাড়েন নাই, তার চরিত্র হনন করে যাচ্ছেন। মফস্বল এলাকার ২৭ হাজার মানুষের একজন প্রতিনিধি ৪ লাখ মানুষের প্রতিনিধিকে বিষেদাগার করে, এই ক্ষমতাটা তাকে কে দিয়েছে।

আজকে কাদের মির্জা সত্য বচনের নামে সারা বংলাদেশে পাগল হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে- এ মন্তব্য করে কাদের মির্জার এই প্রতিপক্ষ বলেন, উনি মানুষের নামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেন। উনি আজকে বিভিন্ন এমপির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজির কথা বলেন-আজকে কোম্পানীগঞ্জবাসীকে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই। বসুরহাট পৌরসভার ১৫ বছর উনি মেয়র, কোনো ব্যক্তি টেন্ডারে এটেন্ড করতে পারেনি, ওনার নির্দেশ ছাড়া।

তিনি আরও বলেন, কোটি কোটি টাকার টেন্ডার উনি নিজ হাতে (আবদুল কাদের মির্জা) নিয়ন্ত্রণ করতেন। নামে বেনামে লাইসেন্স দিয়ে সকল কাজ করে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে দীঘির পাড়ে পেশী শক্তি দিয়ে একটা মার্কেট নির্মাণ করেন। যদিও সেটা বৈধ নয়। সে মার্কেটে ১০০টির উপরে দোকান বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আজকে ওনারও সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, এজন্য উনি বসুরহাট বাজারের আরেকটি প্রাণকেন্দ্র জিরো পয়েন্টের কাছে মির্জা টাওয়ার নামে নিজ নামে টাওয়ার করছেন। এই বলে সাইনবোর্ড লাগিয়ে কোম্পানীগঞ্জবাসীর থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার আরেকটি পাঁয়তারা করছেন। আমি কোম্পানীগঞ্জের ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব তার এ ফাঁদে পা দেবেন না। কারণ মির্জা টাওয়ার এখনো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পায়নি। উনার এখন সকল দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মির্জা টাওয়ারের নামে দোকান বরাদ্দের নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমার মনে হয় উনি আমেরিকায় পাড়ি জমানোর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তাই সকলকে অনুরোধ করবো এ মির্জা টাওয়ারে কেউ দোকান বরাদ্দের চেষ্টা করবেন না।

এসময় মিজানুর রহমান বাদল আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করে বলেন- যাদের বিরুদ্ধে তিনি বিষোদাগার করেছেন প্রত্যেকটা জায়গায় কোনো না কোনো অর্থনৈতিক লেনদেনের সর্ম্পক রয়েছে। সেই অর্থনৈতিক লেনদেন যাদের সাথে মিলে নাই তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কী প্রশংসাই না ওনি করেছেন। যখনই নোয়াখালী জেলা  আ.লীগের সভাপতি উনাকে সঠিকপথে চলার জন্য বলেছেন তখনই উনার বিরুদ্ধে, উনাকে বলে মেরুদন্ডহীন প্রাণী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *