[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ-আব্দুল কাদের অপু লাকসাম প্রতিনিধি]

আপন খালাতো বোন সোমাকে প্রেম করে বিয়ে করেন মানিক। সংসার জীবনে তাদের ঘরে আসে দুই ছেলে। বড় ছেলে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়ে। অপর ছেলে ২য় শ্রেণির ছাত্র। ১৪ বছরের সংসারের মায়া ত্যাগ করে ছোট ছেলেকে বাপের বাড়িতে রেখে এক প্রবাসীর হাত ধরে উধাও হয়ে গেছেন সোমা। সঙ্গে নিয়ে গেছে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার। এ ব্যাপারে লাকসাম থানায় মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, লাকসাম উপজেলা উত্তর কাদ্রা গ্রামের মানিক


পেশায় রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী। আপন খালাতো বোন সোমা (২৮)। বাড়িতে কেউ না থাকায় শ্বশুরবাড়ি বড়বাম গ্রামে তার স্ত্রীসহ ছোট ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। ঘটনার দিন মানিক শ্বশুরবাড়ি বড়বাম থেকে লাকসামে ভাড়া নিয়ে যান। পরে ডাক্তার দেখানোর নাম করে সোমা লাকসামে যান। দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় মানিকের শ্যালক ঘটনাটি তার বোনের জামাইকে জানান। শ্যালক শাহিন দ্রুত ডাক্তার সজলের চেম্বারে যান। ডাক্তার জানান, দুপুর ১টার পর আমার চেম্বারের সামনে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখেন। এরপর মানিক ও তার শ্যালক কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। মানিক আরো জানান, আমার স্ত্রীর ফোনও বন্ধ। জানা যায়, লাকসাম পূর্ব নরপাটি ইউনিয়নের গাইনের ডহরা মজুমদার বাড়ির শরীফ হোসেন (৩০) এক সময় ট্রাক্টর চালাতেন। মানিকের নানার বাড়ির আত্মীয় হওয়ায় প্রায় সময় তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। ওই সময় থেকে সোমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তিনি বাহরাইন চলে যান। বাহরাইনে থাকার সময় প্রায় সময় সোমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন। বিষয়টি ছোট ছেলে সাইফ তার বাবাকে জানায়। স্বামী মানিক শ্বশুরবাড়ির ও নিজ আত্মীয়-স্বজনদের ঘটনাটি জানান। সবাই বসে। সোমা ভুল হয়েছে বলে সবার কাছে ক্ষমা চায়। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবে না বলেও অঙ্গীকার করে। এরইমধ্যে সম্প্রতি বাহরাইন থেকে প্রেমিক শরীফ দেশে আসে। গত ১৯শে মে দুপুর বেলা প্রেমিক শরীফের হাত ধরে সোমা পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নাসির প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *