[ ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ-মোঃ বিল্লাল হোসেন,দেবীদ্বার প্রতিনিধি:]
দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের বাসিন্দা রহিমা বেগম (ছদ্মনাম)। ‘হ্যালো স্বেচ্ছাসেবকলীগে’র হটলাইন নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা চাইলেন তিনি। বুধবার (১৪
জুলাই) দুপুরে রহিমা বেগমের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন ‘হ্যালো
স্বেচ্ছাসেবকলীগে’র একদল সদস্য। রহিমা বেগমের মত ছোট আলমপুরের কুলছুম বেগম,
আক্কাস আলী, গুনাইঘর এলাকার সালমা আক্তার, উনঝুটি গ্রামে সেকান্দার মিয়ার বাড়িও
বাদ পড়েনি খাদ্য সহায়তা থেকে। খাদ্য সহায়তা পেয়ে রহিমা বেগম, সেকান্দার মিয়া,
সালমা আক্তার (ছদ্মনাম) এ প্রতিবেদককে জানান, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁর
অভাবের সংসার। ছেলে কবির হোসেন একজন ব্যাটারীচালিত অটো রিকশাচালক। করোনায়
লকডাউনের কারণে অটোরিকশা নিয়ে বের হতে পারেনি। অসহায়ত্ব দেখে পাশের বাড়ির
একজন একটি নম্বর দিয়ে বলেন ‘এই নম্বরে কল দিলে খাদ্য নিয়ে আসবে’ আমি ফোন করে
খাদ্য সহযোগিতায় চাওয়ায় তাঁরা তেল, আটা, চাল, ডাল, আলু নিয়ে আমার বাড়ি এসেছে। আমি অনেক খুশি হয়েছি।
জানা গেছে, রহিমা বেগমের মত ফোন পেয়ে গত এক সপ্তাহে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িতে
খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন ‘হ্যালো স্বেচ্ছাসেবকলীগ। মটরবাইক্ করে খাদ্য সহায়তা
পৌছে দেয়ার জন্য রয়েছেন একদল দল স্বেচ্ছাসেবক টিম। যারা ফোন করেছেন তাদের নাম পরিচয় গোপন রেখেই খাদ্য সহায়তা পৌছে দেন তাঁরা।
হ্যালো স্বেচ্ছাসেবকলীগের কর্ণধার কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য মো.সাদ্দাম হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগকালে অসহায় মানুষের ফোন পেয়ে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন হ্যালো স্বেচ্ছাসেবকলীগ। এছাড়াও ‘হ্যালো স্বেচ্ছাসেবকলীগ’ জন সাধারণকে সচেতন করতে
প্রচারপত্র ও সুরক্ষা সামগ্রী, করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ, ফলমূলসহ যাবতীয় বিতরণ করা হচ্ছে। এ কাজে দেবীদ্বার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কয়েক’শ
তরুণ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে নানা পর্যায়ে চলছে এসব
কার্যক্রম।উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো.আবদুল মান্নান মোল্লা বলেন,
‘হ্যালো স্বেচ্ছাসেবকলীগ’ দিনমজুর, অসহায় ও কর্মহীন মানুষদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া
হচ্ছে। ওই খাদ্য সহায়তা একদল স্বেচ্ছায় শ্রম দেয়া তরুণ তাদের বাড়ি বাড়ি পৌছে
দিচ্ছি। দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ওমানী বলেন,
মানুষ ঘরে থাকলে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে সংক্রমণ ঠেকানো যেতে পারে। এ কারণে
মানুষকে ঘরে রাখার জন্য তাদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া এটি একটি
মানবিক কাজ।
দেবীদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বলেন, এটি অন্যরকম একটি কাজ। চলমান
সংকট মোকাবেলায় নেতা কর্মীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে তাদের খোঁজ রাখছেনএটিই চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের পাশাপাশি তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যাতে মানুষের জন্য এগিয়ে আসেন। এমন নির্দেশনায়ই দেওয়া হয়েছে আমার
প্রতিটি নেতা-কর্মীকে।