[ম্যাক নিউজঃ-কুমিল্লা প্রতিনিধি]
বাড়ী থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের হাত ভেঙ্গে দিলো দূর্বত্তরা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোমতী নদীর চরের বানাশুয়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতের নাম রবিউল আহমেদ। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মহেষপুর গ্রামের নসু মিয়ার ছেলে। রবিউল পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে রবিউলের বাবা নসু মিয়া কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বানাশুয়া বিরেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে রবিউল ও তার বন্ধুরা। ফুটবল ম্যাচের আয়োজনের কথা না জানানোর কারনে বানাশুয়া গ্রামের মৃত মোফাজ্জর মিয়ার ছেলে মোঃ পলাশ (৩৫)ও তার সঙ্গীরা রবিউলকে ফোনে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গোমতীর চরের মধ্যে বেধড়ক পেটায়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে পরে রবিউলকে কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানায়, লাঠির আঘাতে রবিউলের বাম হাত ভেঙ্গে যায়। পাশাপাশি রবিউলের শরীরে বিভিন্ন অংশে গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
আহতের নাম রবিউল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, পলাশসহ তার সঙ্গীরা রবিউলকে পেটানোর সময় বলছিলো তুরে পিডাইলে আমরা রাতারাতি বিখ্যাত হমু। আর তুই এমনিতে জামাত শিবির করিস।
এদিকে রবিবার সকালে আহত রবিউল এ প্রতিবেদককে জানান, খেলার আয়োজন করার কারনে পলাশ আমাকে ফোনে বাড়ী থেকে ডেকে আনে। তারপর তার সঙ্গীরাসহ বেধড়ক পেটায়। আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। শুধু খেলার আয়োজনের কথা তাকে না জানানোর অপরাধে আমাকে পেটায়।
এ ঘটনায় আহত যুবক রবিউলের বাবা নসু মিয়া বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৪/১৫ জন অজ্ঞাতকে আসামীকে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন বানাশুয়া গ্রামের মোজাফ্ফর এর ছেলে মো পলাশ (৩৫), একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে ফরহাদ (১৯), আবদুল কাদেরের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন তাফসির(২১), জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল (২০) ও আবদুল মতিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম হৃদয় (২৭)সহ অজ্ঞাত ১৪/১৫ জন।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অভিযুক্ত পলাশ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে সংযোগ পাওয়া যায় নি।
আহত রবিউলের বাবা জানান, শুক্রবার বিকেলে আমার ছেলেকে পিটাইছে। শনিবার থানায় মামলা করছি। এখন মামলা তুলে নিতে পলাশও তার সঙ্গীরা প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকী দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।