[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ- বুড়িচং প্রতিনিধি।।]

বুড়িচংয়ে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিনের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও তার পরিবারকে প্রাণনাশে হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।উক্ত অভিযোগ ভিত্তিতে ঘটনারস্থলে তথ্য সংগ্রহকালে কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হাত থেকে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় এবং একটি মোবাইল ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি ঘটে (৬ সেপ্টেম্বর ২০২১) সোমবার বিকেলে।

মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা আক্তার এ বিষয়ে বুড়িচং থানায় অভিযোগ করেন, উক্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়ার গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিনের মৃত্যুর আগে তার জায়গা সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করে যান এবং পুরাতন মাটির ঘর রেখে অন্যস্থানে একটি নতুন বাড়ি করেন।সেখানে যাওয়ার পর থেকে পুরাতন মাটির ঘরের জায়গা জোরদখল করে চেষ্টা চালিয়ে আসছে পাশের বাড়ির মো: সামসু মিয়া ও তার ছেলেরা। এর জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে মাটির ঘরটি জন্য কয়েক দফায় হামলা চালায়। মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন মৃত্যুর পর তার পরিবারটি এখন প্রায় অসহন হয়ে পড়েন।এ সুযোগে মোঃ সামসু মিয়া তার গং নিয়ে গত (৫ সেপ্টেম্বর ২০২১) রোববার রাতে ঘরটি ভেঙে ফেলে। এর আগে মাটির ঘরের দেওয়ালের নিচের অংশ কর্তন করে রাখে। এখন মাটির ঘরটি মেরামত গেলে তারা বাঁধা প্রদান করে।এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনারস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে যায় স্থানীয় সাংবাদিক আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়,সাংবাদিক সাফি, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম সুমন।তখন সাংবাদিক দেখার মাত্রই মো: সামসু মিয়ার গং মহসিন ও মোশাররফ হোসেন চড়াও হয়ে উঠেন। ঘরের ছবি তুলতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয় সাথে থাকা একটি মোবাইল ভেঙে ফেলে ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অশুভনীয় আচরণ করে।খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারা সন্ত্রাসীর কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।

তাদের দাবী মাটির ঘরটি ঝড় তুফানে ভেঙে যায় কিন্তু বাস্তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ঘরের ভাংচুরের অভিযোগটি মিল পাওয়া যায়।

মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রহিমা আক্তার বলেন, এ সন্ত্রাসীরা এখন আমার ঘরটি মেরামত করতে দেয় না। বরং তারা আমাকে আমার ছেলে মেয়েকে বার বার প্রাণনাশে হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই ও সহযোগীতা কামনা করি।

এ বিষয়ে, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান চেয়ারম্যান(সাবেক),বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান আজদ সহ আরো কয়েকজন বীরমুক্তিযোদ্ধা এ বিষয়টি শুনে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আলমগীর হোসেন জানান, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিনের পরিবার যদি তাদের ঘরের ভাংচুরের বিষয়টি থানায় অভিযোগ করেন আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *