[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ- মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা]
কুমিল্লায় মামুনুলদের মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ ডিসেম্বর
কুমিল্লার আদালতে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কুমিল্লার চান্দিনার জোয়াগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুই দিনের মাহফিলের আয়োজন করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী। ওই সমাবেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মাহফিল আয়োজন ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে কুমিল্লায় করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও সংগঠনটির নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর পরবর্তী হাজিরার তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ঠিক করেছে আদালত।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-৭-এর বিচারক ইরফানুল হক চৌধুরী রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কুমিল্লার চান্দিনার জোয়াগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুই দিনের মাহফিলের আয়োজন করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী। ওই সমাবেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
এ ঘটনায় ১৭ ডিসেম্বর আয়োজক ও অতিথিসহ ছয়জনের নামে পুলিশ মামলা করে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। মামুনুল হককে আদালতে তোলার খবরে আদালত চত্বরে ভিড় করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আদালতে হাজিরা দিতে আসা দেবিদ্বার উপজেলার মাসুম মিয়া বলেন, ‘শুনলাম মামুনুল হককে আনা হবে। আমার হাজিরা আছিল ১০টায়। হাজিরা শেষ। এখন মামুনুল হকরে দেহনের লাইগ্যা খাড়াইয়া আছি।’
কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, মামলায় হাজিরা দিতে গত শুক্রবার মামুনুল হক ও খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ জানান, সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত চত্বরে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা।