[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]
জালিয়াতির মাধ্যমে একজনের জমি অন্যজনকে লিখে দেওয়া ও সরকারি রেকর্ড নষ্ট করাসহ আপিল আদেশ অমান্য করায় নোয়াখালীতে সহকারী সেটেলম্যান্ট অফিসারকে ২৩ বছর সাজা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা।
দুদকের উপপরিচালক ও নোয়াখালীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার ৪.৫০ একর জমির মূল মালিক আব্দুর রহিম ও তার আত্মীয়-স্বজন। মাঠ জরিপের সময় জালিয়াতির ফলে ওই জমি সামছুল হক ওরফে সামছু উদ্দিনের নামে উঠে যায়। এ বিষয়ে আপিল করা হলে আদালতে প্রথমে আব্দুর রহিমদের নামে রায় দেন এবং খতিয়ান ও রায়ের কপি প্রদান করেন।
রায়ের পর সামসুল হক যোগাযোগ করে নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার তৎকালীন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কবির আহাম্মদকে দিয়ে রায় পরিবর্তন করিয়ে তাদের নামে রায় নেন এবং খতিয়ান ও রায়ের কপি নেন। ইতোমধ্যে সেটেলেমন্ট অফিসার আগে সরবরাহকৃত খতিয়ান ও রায়ের কপি গোপন করেন। আইনগত ক্ষমতা না থাকার পরও আদেশ সংশোধন করেন তিনি।
এভাবে নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার তৎকালীন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কবির আহাম্মদ ও সামছুল হক ওরফে সামছু উদ্দিন অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি রেকর্ড বিনষ্ট করে আপিল আদেশ দেওয়ার পর পুনরায় ক্ষমতা বর্হিভূত আদেশ পরিবর্তন করেন। তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে দণ্ডবিধির ১৬৭/২০১/৪২০/৪৬৬/৪৬৮/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।
যে কারণে স্পেশাল জজ আদালত নোয়াখালী ১নং আসামি কবির আহাম্মদকে ২৩ বছর ও সামছুল হক ওরফে সামছু উদ্দিনকে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।