[ম্যাক নিউজ রিপোট:- কুমিল্লা প্রতিনিধি।।]

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘বাইজিদ সরকার ছাত্রলীগ কর্মী। তার বাবা নৌকার মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। আমরা তার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

ইউপি নির্বাচনে বাবা নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করেছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী। পুরো ঘটনা তিনি আবার নিজের ফেসবুকে লাইভও করেছেন।

ঘটনাটি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নে।

দুলালপুর পশ্চিম বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বাইজিদ সরকার। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের ছেলে।

চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুলালপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মনিরুল। মঙ্গলবার রাতে ঘোষিত প্রার্থীর তালিকায় তার নাম না থাকায় ক্ষিপ্ত হন বাইজিদ।

ফেসবুকে লাইভ করা ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ অফিসে ঢুকে শুরুতে চেয়ার ভাঙচুর করেন বাইজিদ। তাকে একজন বাধা দিতে এলে তিনি তার দিকে তেড়ে যান। পরে আবার ভাঙচুর শুরু করেন। এক নেতার ছবি নামিয়ে আগুন দেয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায় বাইজিদকে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার দাবি উঠেছে।

এর পরপরই নিজের ফেসবুক থেকে ভিডিওটি সরিয়ে নেন বাইজিদ।

কেন দলের অফিস ভাঙচুর করলেন, এমন প্রশ্নে বাইজিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে আমার দাদা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। দাদা সামছুল ইসলাম মেম্বার ছিলেন, আমার বাবা এই ইউনিয়ের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবার কেন্দ্রে ৭ জনের নাম পাঠানো হয়। আমার বাবার নাম সবার প্রথমে ছিল। অথচ তালিকার ৩ নম্বরে থাকা নিক্সন ভাই নৌকা পেলেন।

‘আওয়ামী লীগ করতে করতে আমার পরিবার নিঃস্ব। আমার নামে দুটা মামলা চলমান। ওই অফিসটা আমাদের জায়গায়। আমরা যদি অফিসটা ভাড়া দিই, তাহলে মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আসে। দলকে ভালোবেসে আমরা তা করিনি।’

অফিসটা ভাঙচুর করেছি যেন অন্য উপজেলা বা ইউনিয়নের ত্যাগী প্রার্থীদের আগামীতে অবমূল্যায়ন করা না হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘বাইজিদ সরকার ছাত্রলীগ কর্মী। তার বাবা নৌকার মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। আমরা তার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *