[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]

দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ জানুয়ারি) রাতে সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বৈঠকে বিধিনিষেধসহ অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। সবশেষে আপাতত বিধিনিষেধ এলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে এক সপ্তাহ দেখা হবে। ওই সপ্তাহের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে করণীয় ঠিক হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের বৈঠকের সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে কাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ব্রিফ হবে। সেখানে বিস্তারিত সকল কিছু জানানো হবে।

কারিগরি কমিটির ৫১তম সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

এর আগে দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে গুজবে কান দেবেন না। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে। আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রেখে সংক্রমণ কীভাবে এড়াতে পারি।

শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাক এই আশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা কি পরীক্ষার সনদের ওপর নির্ভরশীল? যদি তাই হবে তাহলে এত সনদধারী বেকার কেন? নিশ্চয়ই এটা আমাদের কাম্য নয়। সে কারণে একেবারে প্রাক-প্রাথমিক থেকে একটা পরিবর্তন নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। যার মাধ্যমে শিক্ষা শুধু পরীক্ষা আর সনদ নির্ভর হবে না। শিক্ষার্থীরা প্রয়োগের মাধ্যমে শিখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *