[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- নিজস্ব প্রতিবেদক।]

কুমিল্লায় র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকস শোরুম থেকে দামি ব্র্যান্ডের নামে নকল পণ্য কিনে প্রতারিত হয়েছেন শিল্পী আক্তার নামে এক ক্রেতা।

এ ঘটনায় তিনি র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জে এম একরাম হোসেনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেছেন।

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা করা। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী আঁখি মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এই কোম্পানি মানুষের কাছে নকল পণ্য দিয়ে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার একজন ভুক্তভোগী এসে অভিযোগ করলে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে মামলার আবেদন করি। পরে বিচারক আব্বাস উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়ের করেছেন শিল্পী আক্তার। তিনি কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বাদী শিল্পী আক্তার বলেন, অনলাইনে আমি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ মডেলের একটি ফ্রিজ দেখে গত ১৪ মার্চ কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্সের শোরুমে গিয়ে ফ্রিজটি কিনি। এর আগে শোরুমে একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় আমার। তখন নিশ্চিত হই এটি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ। কিন্তু আমি শোরুমে গিয়ে দেখি সেই ফ্রিজে নেই কোনো লোগো বা স্টিাকার। পরে এর কারণ জানতে চাইলে সেখানকার কর্মচারীরা নিজেরা এসে হাতে লোগো লাগিয়ে দেন। আমি বিশ্বাস করে ফ্রিজটি ক্রয় করি।

আমি বাড়ি আসার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফ্রিজটি মালয়েশিয়ান কেলভিনেটর ২৭৯ নয় বলে সন্দেহ করেন। একাধিক ফ্রিজ টেকনিশিয়ান এসে ফ্রিজটি দেখে নকল ও লোকাল পণ্য বলে দাবি করেন। এরপর আমি ফ্রিজটি ফেরত দিতে গেলে শোরুম কর্তৃপক্ষ ফেরত নিতে অস্বীকার করে। আমি চাই আমার মতো কেউ যেন প্রতারিত না হয় তাই মামলাটি দায়ের করেছি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- র‌্যাংগস ইলেক্ট্রনিকস লিমিটেডের জিএম (বিক্রয় ও বিপণন) জানে আলম, মার্কেটিং ম্যানেজার মোহাইমিনুল ইসহাক প্রতীক, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মার্কেটিং মো. ওমর ফারুক, কুমিল্লা ঝাউতলা শোরুমের সনি-র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান।

অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা ঝাউতলা শোরুমের সনি-র‌্যাংগস কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কাস্টমারের অভিযোগ ছিল মেইড ইন মালয়েশিয়া খোদাই করে লেখা নেই কেন। তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। আমাদের ঢাকা অফিস থেকে বলা হয়েছে এটি মালয়েশিয়ার তৈরি কেলভিনেটর ২৭৯ ফ্রিজ। তাই আমরা এটিই বিক্রি করছি। যদি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকে তবে আমরা এ বিষয়ে জাবাব দিতে প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *