[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:-সাকিব আল হেলাল বরুড়া]
কুমিল্লার বরুড়ায় নরিন্দ মহিলা মাদরাসার তিন শিশু ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরুড়া উপজেলার ২নং ভবানীপুর ইউনিয়নের নরিন্দ মিজবাহুল উলুম ও নূরানী মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থীকে একই এলাকার(মাদ্রাসার পাঁশের বাড়ি’র) লম্পট আলী আকবর(৬০) কে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে।
গত ২০শে মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টায় নূরানী দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও তার আগে পর পর দুইদিন একই প্রতিষ্ঠানের নূুরানী প্রথম শ্রেণীর আরো দুই শিক্ষার্থী কে জোড়পূর্বক একই ব্যাক্তি কতৃক ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা ঘটার খবর ছড়িয়ে পরলে মাদ্রাসার সকল শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ভাবে ধর্ষক আলী আকবরকে জুতা পেটা করে ছেড়ে দেওয়া হলে মুহুর্তে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়,নূরানী দ্বিতীয় শ্রেণীর ১০বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ঝাল মুড়ি খাওয়ার কথা বলে জোরপূর্বক গোয়াল ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে আলী আকবর ।
তার দুইদিন আগে নূরানী প্রথম শ্রেণির দুই বোন পর পর দুই দিন ধর্ষণ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় ।
দুই ভিকটিমের মা খবর পেয়ে মাদ্রাসায় পৌছে বিচার চাইলে, ধর্ষকের ছেলে মোঃ আনাছ মিয়া ভিকটিমের মাকে হুমকি ধমকি দেয়।
পরবর্তীতে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ধর্ষকের ছেলে পালিয়ে যায়।
ভিকটিমদ্বয় তাদের মাকে জানায়, পর পর দুইদিন বিস্কুট খাওয়ার কথা বলে আলী আকবর গোয়াল ঘরে নিয়ে জোর করে ধর্ষন করে।
এই ঘটনা ভিকটিমদের প্রথমে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এই ঘটনায় আলী আকবরের নামে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি।ধর্ষক আলী আকবরকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।