[ ম্যাক নিউজ বিশেষ প্রতিনিধি: মুহাম্মদ রকিবুল হাসান (রনি)]

র‌্যাব-৪ এর অভিযানে শাহআলী এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান’কে বিদেশী পিস্তল, ম্যাগজিন, গুলি এবং ইয়াবাসহ গ্রেফতার; জাল টাকা এবং প্রাইভেটকার জব্দ।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অস্ত্রধারী ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র‌্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মাহমুদুল হাসান নামক একজন সন্ত্রাসী রাজধানীর শাহআলী থানাধীন দিয়াবাড়ি ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এরূপ তথ্য প্রাপ্তির পর র‌্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল উক্ত সন্ত্রাসীর কর্মকান্ডের উপর নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে যার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করে চাঁদাবাজির অভিযোগ ও মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ বেলা ১২.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর শাহআলী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০১ টি বিদেশী পিস্তল, ০১ টি ম্যাগজিন, ০২ রাউন্ড গুলি, ০১ টি হরিণের চামড়া, ০১ টি প্রাইভেটকার, ১০৫ পিস ইয়াবা, জালটাকা এবং নগদ-২,৮৫,৫৩৫/- টাকাসহ চাঁদাবাজির বিভিন্ন নথিপত্রসহ শাহআলী থানাধীন দিয়াবাড়ী ঘাট এলাকার অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান (৪১), জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী শাহআলী থানাধীন দিয়াবাড়ী ঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। সাধারণ মানুষের সম্পত্তি দখল, চাঁদাবাজি, চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া, মাদক ব্যবসা প্রভৃতি অপরাধের সাথে সে জড়িত। দিয়াবাড়ী এলাকায় চলমান বাস-ট্রাক এবং যেকোনো পণ্য পরিবহনকারী পিকআপ ও অন্যান্য পরিবহন হতে ব্যাপক পরিমাণে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। এছাড়াও অত্র এলাকায় মাদক কেনা বেচা, মাদক সেবনের ঘাঁটি এবং সহযোগীদের আড্ডাখানা ছিল সন্ত্রাসী মাহমুদুল হাসানের কথিত অফিস। স্থানীয় তদন্তে জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বিগত ২০০৪ সালে কাফরুল থানাধীন এলাকায় একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পরে। বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি মিরপুরের একটি স্কুল হতে ১৯৯৮ সালে এসএসসি সম্পন্ন করে। এরপরই সে ধীরে ধীরে মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণামূলক অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও পলাতক সহযোগীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, জালটাকা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *