[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনে একটি আসনের বিপরীতে তিনটি টিকেট বিক্রির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ-সংক্রান্ত এক অভিযোগের পর দুদকের পরিচালিত অভিযানে এ সত্যতা মেলে।
আজ মঙ্গলবার সকালে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারে নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান চালায়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, কমিউটার ট্রেনগুলোর টিকেটের যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা তা পর্যবেক্ষণ করে মহুয়া কমিউটার, তিতাস কমিউটার, রাজশাহী কমিউটার এবং জামালপুর কমিউটারসহ চারটি ট্রেনের সার্ভিস সেখানে দেখা হয়।
দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম জানায়, দুদক কর্মকর্তারা ছদ্মবেশে স্টেশনে গিয়ে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করেন এবং উপস্থিত যাত্রীদের কাছে ঘটনার সত্যতা পান। কোনো যাত্রী আসন চাইলে তাকে একটি আসনের বিপরীতে বাধ্যতামূলক দুই-তিন এমনকি চারটি টিকিট কিনতে হয়।
বেসরকারি এই কমিউটার সার্ভিসগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতায় চললেও তাদের ওপর রেলওয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে। ট্রেন আসার এক ঘণ্টা আগে তারা টিকিট বিক্রি শুরু করে। টিকিট কাটা নিয়ে যাত্রীদের হয়রানির সত্যতা সরেজমিনে দেখতে পায় দুদক টিম।
অভিযানে দুদক জানতে পারে, কমিউটারে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে গেলে একটি আসনের সম্পূর্ণ ভাড়া এবং সঙ্গে ১৫-২০ টাকা বেশি দিতে হয়।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রেন সার্ভিসের জন্য যে চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী তারা রেলওয়ের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে, ট্রেন সার্ভিস দেবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগী হিসেবে যাত্রীসেবা দেবে। কিন্তু তাদের ওপর রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্নভাবে যাত্রীদের হয়রানি করে থাকে বলে অভিযোগ আছে।
পরে দুদক টিম কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার এবং স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে কথা বলে। তারাও ইতোপূর্বে এ রকম অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তাৎক্ষণিক ডিআরএম শফিকুর রহমান এবং ডিসিও (ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার) শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।