[ম্যাক নিউজ রিপোর্টেঃ-নিজস্ব প্রতিবেদক কুমিল্লা]
১৯৭৭ সালে বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান ১১৫৬ জনকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন মাঠে ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা করে। জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে। এই খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার বাংলার মাটিতে একদিন হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সংসদ ভবনের পাশে জিয়ার কবর নেই। সেখানে কার না কার কবর কে জানে। আমি জাতীয় সংসদে বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলাম সেখানে জিয়ার কবর নেই। সংসদ ভবন এলাকা থেকে এটিও অপসারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও মায়ের কান্না সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।
অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানের বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে ষড়যন্ত্রমুলক হত্যাকান্ডের শিকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের ১০০ পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্পোরাল মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম, সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন, সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নূরে আলম, সার্জেন্ট আফাজউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মাসুদুল আলম, সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, সার্জেন্ট মোফরাকুল আলমের মেয়ে রিমনা বেগম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন নাহিদ এজাহার খান এমপি, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) হেলাল মোর্শেদ বীররিক্রম, দিপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান ও কর্পোরাল লরেন্স ডি রোজারি।