[ম্যাক নিউজ রিপোর্টেঃ-স্টাফ রিপোর্টার।।]
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে কুমিল্লার যুবলীগ নেতা মো.কামাল হোসেনকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। যুবলীগ নেতা মো.কামাল হোসেন এসব সংবাদকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে- মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। কামাল হোসেন মনে করেন- সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা না মেনে মনগড়া ভাবে এসব ভিত্তিহীন সংবাদে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো- এসব সংবাদে ঢালাওভাবে মিথ্যাচার করা হলেও এক্ষেত্রে কামাল হোসেনের কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি। এতেই প্রমাণিত হয় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবেই একটি পক্ষের প্ররোচণায় এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
দায়িত্বশীল কোন সংবাদমাধ্যম এভাবে প্ররোচিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ করে কোনভাবেই একজন মানুষের সম্মানহানী করতে পারেন না। এসব সংবাদের উদ্দেশ্যই হলো ওই যুবলীগ নেতাকে সামাজিকভাবে হেওপ্রতিপন্ন করা।
সোমবার বিকেলে এক প্রতিবাদলিপিতে এসব কথা উল্লেখ্য করে মো.কামাল হোসেন আরো বলেন, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এবং সবশেষ কুমিল্লার একটি অনলাইন পোর্টালে ‘কুমিল্লায় পাসপোর্টের দালাল কামালের আছে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ! এবং কুমিল্লার পাসপোর্টের দালাল কামাল এখন শতকোটি টাকার মালিক’ এমন মানহানীকর শিরোনামে এসব সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ঢালাওভাবে মিথ্যাচার করা এই সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে তথ্য-প্রযুক্তি (ডিজিটাল নিরাপত্তা) আইনেও দেশের একজন নাগরিকের অধিকার হরণ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদগুলোতে আমার শিক্ষাযোগ্যতা নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলা হয়েছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ওই সংবাদটি একটি কুচক্রিমহলের নোংরা রাজনীতিরই বহি:প্রকাশ। আমাকে সমাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করাই তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে চক্রটি কোথাও কোন প্রকার সুবিধা করতে না পেরে ভুল তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদেরও বিভ্রান্ত করেছেন। আর কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই গণমাধ্যমে এসব সংবাদ প্রকাশ হওয়া আমাকে রীতিমতো অবাক করেছে। প্রকাশিত সংবাদে খুলনার আদালতে যেই মামলার কথা বলা হয়েছে- সেটিও ছিলো ওই কু-চক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের আরেকটি অংশ। ইতিমধ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট পরিচয়ে করা মামলাটি খুলনার আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। যার সকল প্রমাণও আমার কাছে রয়েছে।
কামাল হোসেন আরও বলেন, আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন শেষে এখন যুবলীগের রাজনীতি করছি। সংবাদে আমার সম্পত্তির যেসব হিসেব বা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে- তা-ও ওই ষড়যন্ত্রকারীদের মনগড়া তথ্য ছাড়া আর কিছুই না। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওই কুচক্রি মহলের ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরই মধ্যে কারা কারা এসব ষড়যন্ত্র করছে, সেই মুখোশধারী কুচক্রিমহলের পরিচয়ও আমার কাছে পরিষ্কার। অচীরেই আমি এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমি একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, সুতরাং কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে দালালি করতে যাবো কেন? আমার বড় ভাইয়েরা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে ব্যবসায়ীকভাবে প্রতিষ্ঠিত। আমি কোন অসহায় পরিবারের সন্তান নই যে- আমাকে পাসপোর্ট অফিসের দালালি করতে হবে। সংবাদে শত কোটি টাকা, বাড়ি, ফ্ল্যাট, জায়গা সম্পত্তি, ব্যাংক হিসাবসহ অনেক কিছুই মনগড়া ও তাদের ইচ্ছেমতো প্রকাশ করা হয়েছে- যা যাচাই করা ছাড়া কোন গণমাধ্যম প্রকাশ করাও বেআইনী। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো- ওই ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকে হেওপ্রতিপন্ন করতে গিয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নামও ব্যবহার করেছেন। যার তীব্র নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।
কামাল হোসেন আরো বলেন, প্রকাশিত সংবাদগুলোতে বলা হয়- কুমিল্লার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের টেন্ডার ভাগাভাগির বিষয়টি আমি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন সকল টেন্ডারই অনলাইনে হয়। এতেই বোঝা যায় এসব তথ্য সম্পূর্ণ ভুয়া। আর যমুনা ব্যাংকের সাথে ও বদলির বিষয়ের সাথে আমার কোন সখ্যতা নেই। আমার কাছে বিষয়টি হাস্যকর মনে হয়েছে। সরকারি ইপিজি টেন্ডারের পে-অর্ডার, বিভিন্ন ধরণের ভাতা, উৎসব বোনাস ও ব্যাংকের বিভিন্ন হেডের মাধ্যমে সরকারি ফান্ড আত্মসাৎ বিষয়টিও সম্পন্ন মিথ্যা কাল্পনিক ও বানোয়াট। এছাড়া ব্যাংক গ্রাহকের টাকা- গ্রাহক ছাড়া কীভাবে উত্তোলন করা যায়, সেটি আমার জানা নেই। এসব ভিত্তিহীন সংবাদের মাধ্যমে আমাকে হেওপ্রতিপন্ন করা ব্যক্তিরা খুব বেশি সফল হয়েছেন বলে আমি মনে করি না। কারণ কোন সুস্থমস্তিষ্কের মানুষ এমন মিথ্যাচার কখনো বিশ্বাস করতে পারেন না। আমরা সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করছি। সামনে আইনগতভাবেই এসব ষড়যন্ত্রের উচিত জবাব দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ। আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধে করবো- আপনারা ষড়যন্ত্রকারীদের এসব মনগড়া মিথ্যাচার কোন প্রকার যাচাই না করে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ গণমাধ্যমের কাজ সত্য তুলে ধরা, কিন্তু মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করা অবশ্যই না। আমি সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত এসব মিথ্যাচারমূলক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সকলের জন্য শুভ কামনা।
মো. কামাল হোসেন
পিতা: নুর মোহাম্মদ
সাং- লক্ষনপুর, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা।