[ম্যাক নিউজ রিপোর্টে:-জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম ব্যুরো]
দেশের প্রধান রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে দুদক কর্মকর্তারা কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তাদের ‘নিযুক্ত’ পছন্দসই দালালের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের সত্যতা পেয়েছে। পাশাপাশি রাসায়নিক ল্যাবের কার্যক্রমেও মিলেছে অসঙ্গতি।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ৫ ও ৭ নম্বর সেকশনে অভিযানটি পরিচালিত হয়। এসময় নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক।
সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারের কার্যক্রমে অসঙ্গতি, বিভিন্ন গ্রুপের কাজে অনিয়মসিহ বিভিন্ন বিষয়ে হটলাইনে অভিযোগ পায় দুদক। আর সে বিষয়ে খোঁজ নিতে দুদক টিম হাজির হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে।
অভিযানকালে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সরাসরি প্রমাণ করতে না পারলেও অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন দুদক। মূলত অসাধু কর্মকর্তাদের পছন্দসই দালাল চক্রের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পাদন হয়।
এ বিষয়ে দুদক চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম কাস্টমসে অভিযান চালানো হয়। সকাল থেকে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া অবলোকন করা হয়। এ সময় ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায় নি। তবে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। অসাধু কর্মকর্তাদের পছন্দসই দালাল চক্রের মাধ্যমে এখানে ঘুষ লেনদেন হয় বলে জানান দুদক কর্মকর্তা। এছাড়া কাস্টমসের রাসায়নিক ল্যাবের কার্যক্রমেও নানা অসঙ্গতি দেখা গেছে। অভিযোগের বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে কিছু রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।