[ম্যাক নিউজ]
সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার ধানুহাটারপাড়স্থ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে কোরআন শরীফ পুড়ানোর ঘটনায় ৩০০ জনকে আসামী করে দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, একটি মামলা করা হয় পবিত্র কোরআন পুড়ানোর অভিযোগে। অপর মামলাটি হয় পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে।
এর মধ্যে প্রথম মামলাটি করেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ ফজল, এতে তিনজনকে আসামী করা হয়। অপর মামলাটি করেন কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অঞ্জন কুমার দেবনাথ, এতে অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে প্রথম মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো তিন আসামিকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত রোববার রাতে পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়ানোর অভিযোগে সিলেট আখালিয়া এলাকায় রাতভর তুলকালাম ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার বিকালে ইসহাক আহমদ এক কার্টুন ও এক বস্তা ভর্তি কোরআন শরীফ দিয়ে যান নুরুর রহমানের কাছে। কোরআন শরীফ দেওয়া ইসহাক সিলেট বেতারের ক্বারি ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) বলেন, রবিবার রাত ১০টার দিকে নুরুর রহমান ও মাহবুব আলম বস্তার ৪৫টি কোরআন শরীফ কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে শুরু করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এ দুজনকে মারধর শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ওই এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং জনতার হাত থেকে নুর ও মাহবুবকে উদ্ধার করে। এসময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয় এসময়। আহত পুলিশ সদ্যসদ্যরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগান ব্যবহার করে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, রাতে ওই এলাকায় কোতোয়ালি থানা, জালালাবাদ থানা, সিআরটি ও গোয়েন্দা পুলিশের ৫ শতাধিক সদস্য কাজ করে। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-৯ এর একটি টিমও কাজ করে।