[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- মোস্তাফিজুর রহমান।]


কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর রেলস্টেশনে প্রায় এক বছরেও বুঝে পায় নি ওয়াইটিং রুম ও টয়লেটের চাবি। এতে ক্ষোভ
গতকাল ২৫ জানুয়ারি বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোটি টাকা খরচ করে নান্দনিক রেলস্টেশন স্থাপন করেছে বুড়িচং রাজাপুরে।

কিন্তু যাত্রীদের বসার রুম এবং টয়লেটের দরজায় ঝুলছে তালা। যাত্রীরা বসে আছে ওয়েইটিং রুমের বাহিরে। স্টেশন মাস্টারের রুম ছাড়া বাকি সব গুলো রুমই বন্ধ। কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় কাউন্টার বন্ধ। ভিতরে বিছানা বিছানো থাকার জায়গা। দেখলে মনে হবে কারো বাসা বাড়ি।


স্টেশনে থাকা অবস্থায় ওয়েইটিং রুমে প্রবেশ করে একজন আনসার সদস্য। স্টেশন মাস্টারকে চাবি বুঝিয়ে না দিলেও একজন আনসার সদস্যকে চাবি বুঝিয়ে দিয়েছে ম্যাক্সের লোকজন এবং লাকসাম রেলওয়ে স্টেশনের এক এস আই।
আনসার সদস্যের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাকে এ চাবি লাকসামের এক এস আই এবং ম্যাক্সের লোকজন বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা এখানে বসে বিশ্রাম নেই।


ফাতেমা আক্তার নামের একজন যাত্রী বলেন, আমি কয়েকদিন পর পর ট্রেনে রাজাপুর থেকে কুমিল্লা আসা যাওয়া করি। এ স্টেশনের উন্নয়ন হলেও যাত্রীদের জন্য কোন সুবিধা হয়নি। যাত্রী বসার রুম থাকলেও এ রুমটা কোন দিনও খোলা পাইনি। এটা সব সময় বন্ধ থাকে। যাত্রীরা সবাই বাহিরে বসে থাকে।
অন্য একজন যাত্রী বলেন, রুম হচ্ছে ভিআইপিদের জন্য আমাদের জন্য হচ্ছে বাহিরের এ জয়গা। স্টেশন মাস্টারের রুম চালু হইলো কিন্তু আমাদের বসার রুম এবং কাউন্টার নাকি চালু হয় নাই। এত টাকা খরচ করে কি লাভ হলো যদি যাত্রীরা সুযোগ সুবিধা না পায়। আমরা চাই দ্রুত এ রুম এবং টয়লেট গুলো যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, আমি এখানে আসছি দু মাস হবে। আমাকে এখনো ওয়েইটিং রুম এবং দক্ষিণ পাশের টয়লেটের চাবি বুঝিয়ে দেয়নি। আমি চাবি পেলে রুম খুলে দেবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *