[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম]

চট্টগ্রাম বন্দরের ভাণ্ডার শাখার সাত কোটি টাকার লোহার স্ক্র্যাপ মাত্র এক কোটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযানে এসে এই অভিযোগের প্রমাণও পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

সূত্র হতে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০ থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করে দুদক। এসময় দুদক টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার পর সংশ্লিষ্ট শাখার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে। কাগজপত্র যাচাইকালে দেখা গেছে, টেন্ডারের কার্যক্রম শেষ হলেও ঠিকাদারকে মালামাল সরবরাহ করা হয়নি। এসব মালামাল বিক্রি করা হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ টাকায়। কিন্তু এসব স্ক্র্যাপের প্রকৃত মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা। সেই হিসেবে হেরফের হয়েছে ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম বন্দরের ভান্ডার শাখার ৩১, ৩২, ৫৮, ৫৯, ও ৬০ নম্বর লটে লোহার স্ক্র্যাপসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রির কাগজ, রেকর্ডপত্র, স্টক রেজিস্ট্রার, মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার ও স্টক করা মালামাল সরেজমিন পরিদর্শনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এসব লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে চট্টগ্রাম বন্দর।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, ‘গত বছর সেপ্টেম্বরে লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাস্তবে যেখানে ৭ কোটি টাকার লোহার স্ক্র্যাপ ছিল, সেখানে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ওই স্ক্র্যাপ বিক্রি করে মাত্র ১ কোটি ২১ লাখ টাকায়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *