[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ-নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি।]

কুমিল্লায় মুখরচিত হয়ে উঠবে জেলার পাঁচ হাজারের অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । প্রায় দেড় বছর পর অবশেষে খুলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবারও শিশু-কিশোরদের ছুটোছুটিতে মুখর হয়ে উঠবে তাদের প্রিয় বিদ্যালয় আঙ্গিনা। বিদ্যালয়ে যেতে পারবে এমন মুহুর্তে দিন গুনছে শিক্ষার্থী। স্বস্থিতে অভিভাবকরা। বিদ্যালয় খুলতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়েছেন যাবতীয় ব্যবস্থা।

জানা যায়, কুমিল্লা জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে দুই হাজার ১০৬টি, কিন্ডার গার্ডেন রয়েছে দুই হাজার ১৭৬টি। মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬০৫টি ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৬২ টি।

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নগরীর চকবাজারের বাসিন্দা কাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন বাচ্চারা ঘরে থাকতে থাকতে হাফিয়ে উঠেছে। লেখাপড়ায় অমনোযোগি হয়ে গেছে। বিদ্যালয় খোলার ঘোষনায় আমাদের মনে স্বঃস্থি ফিরে এসেছে।
নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলা হবে তাই পূনরায় সকল শিক্ষদের নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে সকল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ যাবতীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কাবিলা জুনাব আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফয়জুন্নেছা সিমা বলেন, বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা থেকে শুরু করে শ্রেনী কক্ষ সম্পূন্ন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। কিনে আনা হয়েছে শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, মাস্ক হ্যান্ড স্যানেটাইজার, সাবান। এখন শুধ বাকি নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
মাধ্যমিক শিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের সহকারি বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন বলেন, বিদ্যালয় খুলবে খুলবে বলা হচ্ছিলো তাই আমরা আগে থেকেই সকল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ করে রেখেছি। আমাদের একাডেমিক কাজ বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কাজ নিয়মিত চলে আসছে। শিক্ষকরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসছে। শিক্ষার্ধীদের এনামেইন দিচ্ছেন ও জমা নিচ্ছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, জেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে দুই হাজার ১০৬টি ও কিন্ডার গার্ডেন আছে দুই হাজার ১৭৬টি। তিনি আরো বলেন সকল বিদ্যালয়ে হ্যান্ড স্যানেটাইজার, মাক্স ও জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে খোলার পর শিক্ষার্থীদের পাঠদানে আমাদের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।


জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, জেলায় মোট ৬০৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে স্কুল এন্ড কলেজ রয়েছে ৩৪টি। তিনি আরো বলেন ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খুলছে তাই আমরা প্রতিটি উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের সাথে সভা করছি। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানরাও আমাদের সাথে জুম মিটিং এ যুক্ত হচ্ছেন। বিদ্যালয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকরাসহ শিক্ষাথীদের পাঠদানের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিধিমানাসহ মন্ত্রনালয় থেকে যে নির্দেশনা আসবে তা পরিপালন করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (মাউসি) কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর সৌমেশ কর চৌধুরী বলেন, জেলায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৬২ টি কলেজ রয়েছে। এ কলেজগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, হাত ধোয়র পানি সাবান ও স্যানেটাইজার রাখা, শরীরের তাপমাত্রার যন্ত্র রাখা,পাঁচ ফুট ব্যাঞ্চে একজন ও এর বেশি হলে দুপাশে দুজন বসাসহ যাবতীয় নির্দেশনা আগ থেকেই দেওয়া আছে। তাছাড়া মাউসি থেকে দুএক দিনের মধ্যে নির্দেশনা আসবে । যে নির্দেশনা আসবে সে আলোকে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *