[ ম্যাক নিউজ ডেস্ক ]
কুমিল্লার মানুষের হয়রানি বন্ধে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন কুমিল্লার নবাগত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। যোগদানের দুইদিনের মাথায় কুমিল্লার মানুষের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে ওঠা ছিনতাইকারী চক্রের ১২ জনকে আটক করা হয় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে।
সম্প্রতি মেঘনায় দালাল চক্রের উৎপাত ও জেলেদের থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। কুমিল্লায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে।
এদিকে কুমিল্লার পুলিশ সুপারের প্রথম কর্মপ্রচেষ্টা হিসেবে সরকার নির্ধারিত ফি ব্যতীত কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফিয়ের অতিরিক্ত কেউ কোনও অর্থ দাবি করলে বা অযথা হয়রানি করলে প্রমাণ রেখে অভিযোগ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে নিজের আবেদন নিজেকে করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৫০০ টাকার সরকারি চালান ও নিজস্ব ব্যবস্থায় অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। কোনো দালাল বা মাধ্যম ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেকোনও প্রকার সাহয্যের জন্য এক ওয়েবসাইট http://pcc.police.gov.bd ও এক অভিযোগের জন্য কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সহকারী পুলিশ সুপারদের নম্বর কুমিল্লা জেলা পুলিশের পেইজে দেওয়া হয়েছে। যেকোনও ধরনের অপরাধ, জেলার নানাবিধ সমস্যার কথা পরিচয় গোপন রেখে জানানোর জন্য কুমিল্লার সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপারের এসব উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে জেলার লোকজন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, মাদক ও ছিনতাই প্রতিরোধ, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার ও ডাকাতি বন্ধের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যে কাজগুলো আমরা শুরু করেছি, তা আরও বেগবান করা হবে। অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, ধীরে ধীরে সবগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।