[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- জাহিদ হাসান নাইম কুমিল্লা প্রতিনিধি]
ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন কুমিল্লা জেলার লালমাই থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হানিফ সরকার। ইতোমধ্যে নিজের কর্মদক্ষতা ও বিভিন্ন ভালো কাজ করে ওসি হানিফ সরকার প্রশংসিত হয়েছেন সর্বমহলে। লালমাই থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পরই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। মাদক, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং, জুয়া সহ এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি রোধকল্পে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
লালমাই থানার নিজস্ব ভবন না হওয়ায় ভাড়াকৃত ভবনে জনগণের জন্য সকল নাগরিক সেবা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। সেবা প্রার্থীরা দালাল/মধ্যস্বত্ত ভোগী ছাড়াই নির্দ্বিধায় থানায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন সেবা প্রত্যাশীরা। থানায় জিডি, অভিযোগ, মামলা, বিভিন্ন তদন্তে এবং কোন ধরনের আইনি সহায়তায় টাকা-পয়সা লাগছে না । নারী-পুরুষ সবাই অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করছেন ওসির রুমে। মাদক আর চুরি-ছিনতাই থেকে গোটা থানা এলাকা এখন অনেকটাই অপরাধমুক্ত। ২০২৩ সালের ৫ই জানুয়ারী লালমাই থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন মোঃ হানিফ সরকার। তার যোগদানের পরই যেন রাতারাতি পাল্টে গেছে লালমাই থানার দৃশ্যপট। থানার ভেতরে বাইরে পরিবর্তন লক্ষণীয়। থানার সৌন্দর্য্য আগের চেয়ে অনেক সুন্দর করে তুলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে লালমাই থানার (ওসি) হানিফ সরকার জনবান্ধব পুলিশ অফিসার হিসাবে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেছেন।
এছাড়াও তিনি লালমাই থানাকে অপরাধমুক্ত করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছেন। জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে আঞ্চলিক সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে কাগজপত্র ও ফিটনেস বিহীন বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ২২৬ টি মামলায় ৯,১৮,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়েছে মর্মে জানা যায়। এছাড়াও, লালমাই থানার বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে তা নিজ কক্ষ থেকেই পরিচালনা করছেন তিনি। এতে অপরাধ অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আলাপকালে লালমাই উপজেলার ভূশ্চি এলাকার বাসিন্দা রাকিব হোসেন, রিদয় ও মামুন মিয়া বলেন, ‘লালমাই থানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এত সুন্দর কর্মযজ্ঞ কখনো দেখিনি। থানার বর্তমান কাজ দেখে মনটা ভরে যায়। পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বেড়ে যায়। আমাদের যেকোনো অভিযোগ আমরা সরাসরি ওসি স্যারের কাছে ফোন দিয়ে বলতে পারি এবং স্যারের সাথে দেখা করে র্নিভয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এই কথার বাস্তব উদাহরণ আমাদের থানার ওসি হানিফ স্যার।
বেলঘর এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘জনগণের সকল সমস্যা সমাধানে বর্তমান ওসির ভূমিকা প্রশংসনীয়। আগে থানার ভেতরে যেতেও দ্বিধায় থাকতে হতো, এখন আর তা নেই। সবাই এখন জনগনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। আমরা এলাকাবাসী এখন নিশ্চিন্তে থাকতে পারি।’
লালমাই থানার ওসি মোঃ হানিফ সরকার বলেন, ‘লালমাই একটি নবগঠিত থানা। আমি অত্র থানায় যোগদান করার পর কুমিল্লা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল মান্নান, বিপিএম (বার) স্যারের নেতৃত্ব এবং সার্বিক দিক-নির্দেশনায় লালমাই থানা এলাকাকে মাদক ও অপরাধ মুক্ত রাখার জন্য মাদকের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করি। মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভাবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করিয়া যাচ্ছি। ইতিমধ্যে একাধিক মাদক মামলায় আসামী গ্রেফতার সহ প্রচুর মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, থানায় আসা সেবা প্রার্থীদের সব ধরনের নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য থানায় কর্মরত সকল অফিসার ও ফোর্সদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি সপ্তাহে জুম্মার নামাজের দিন বিভিন্ন মসজিদে জনগণের উদ্দেশ্যে জনসচেতনামূলক বক্তব্য প্রদান করে জনগণকে মাদক, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্য বিবাহ, জুয়া/অনলাইন জুয়া, কিশোর গ্যাং, জঙ্গীবাদ, ভাড়াটিয়া তথ্য প্রদান সর্ম্পকে এবং এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সচেতন করি। যতদিন এই থানায় আছি জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। বিট পুলিশিং মিটিং এর মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সকল ধরনের অন্যায়, অনিয়ম রোধকল্পে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য লালমাই থানা এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।