[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- কুবি প্রতিনিধি]
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে বাকবিতণ্ডার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাত জন শিক্ষকের নামে সাধারণ ডায়েরি করেছে। এছাড়া আরো ১৫ থেকে ২০ অজ্ঞাতনামাকে অভিযুক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, দাপ্তরিক কাজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব অনুমতিক্রমে উপাচার্য কক্ষে গেলে ভিতরে অবস্থান করা শিক্ষকেরা অফিসারদের এখানে কেন এসেছো বলে অশ্লীল গালাগালি ও মারমুখী ভঙ্গীতে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে এবং ধাক্কা দিয়ে জোর করে উপাচার্য মহোদয়ের কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি বলি স্যার আমরা দাপ্তরিক কাজে ভিসি স্যারের কাছে এসেছি। আপনারা আমাদের সাথে এমন আচরণ কেন করছেন, ‘আমরা কি মানুষ নই?’ পরবর্তীতে ভিতরে থাকা শিক্ষকবৃন্দ আমাদের দিকে তেড়ে এসে টানা হেচড়া করে উপাচার্য স্যারের কক্ষ থেকে আমাকে এবং আমার সাথে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন স্যারকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। ভিসি স্যারের সাথে আমরা কথা বলতে চাইলে উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ আমাদের সাথে আরও বেশি খারাপ আচরণ করেন।
সাধারণ ডায়েরিতে আরো উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য মহোদয়ের কক্ষে বিকট শব্দ ও হট্টগোল শুনে অন্যান্য অফিসারগণ ভিসি স্যারের রুমের সামনে আসেন। আমাদের সহকর্মীগণ আসলে সম্মানিত শিক্ষকবন্দ তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন। পরবর্তীতে আমি ও আমার সিনিয়র অফিসারগণসহ প্রক্টরিয়াল বডি ও মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের সহযোগীতায় কোন রকমে আত্মরক্ষা করে বের হয়ে আসি। তখন ভিতরে থাকা সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ আমাদেরকে চাকরি কিভাবে করি, বাহিরে বের হলে দেখে নিবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বর্তমানে আমি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অফিসারগণ আমাদের চাকরি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এমতাবস্থায় ভবিষ্যতে বিবাদীগণ কর্তৃক আমাদের চাকরি ও ব্যক্তিগত ক্ষতির আশংকা করছি। অন্যান্য অফিসার ও আমাদের প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া সাধারণ ডায়েরী দায়ের করিতে সামান্য বিলম্ব হইল।
সাধারণ ডায়েরিতে মোট সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো পনেরো থেকে বিশ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জিডিতে উল্লেখিত নামগুলো হলো- বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ রাজু, ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মোঃ কামরুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক আলীমুল রাজী।
জিডির বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘একটা অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে৷ আমরা তদন্ত করছি।’