[ কুমিল্লা প্রতিনিধি ]
কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কোনো মাদক উৎপাদন হয় না, বিদেশ থেকে আমাদের দেশে আসে। এই ক্ষেত্রে চোরাকারবারিরা স্থল, জল ও আকাশ পথ বেছে নেয়। তারই অংশ হিসেবে কুমিল্লা সেক্টর অধীনস্থ ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তের ৩২৭ কিলোমিটার অংশে চোরাকারবারিরা দেশে মাদক প্রবেশের চেষ্টা করে।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বিবিরবাজার হাই স্কুল মাঠে কুমিল্লা ১০ বিজিবি আয়োজিত জনসচেতনতামূলক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সম্ভাব্য আগমনের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং মাদক চোরাকারবারীদের বিষয়ে বিজিবি অত্যান্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ২৪ ঘণ্টা কঠোর নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের দায়িত্বপূর্ণ সব এলাকায় নিয়মিতভাবে সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি।
মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের ধরতে পারলে বিজিবি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করছেন। মাদক একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি যা তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে জনসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। এককভাবে নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।আপনাদের এলাকায় যারা মাদক বিক্রি, সেবন ও চোরাকারবারীদের সহযোগীতা করেন তাদের তথ্য দিন। পরিচয় গোপন রেখে এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত এক বছরে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা থেকে ১০ কোটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকার মাদক দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ২৩০ কেজি গাঁজা, ১৬ হাজার ৫৪২ বোতল ফেন্সিডিল, ১৬ হাজার ৮৩০ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ৩ হাজার ৬২০ বোতল বিয়ার, ৩ হাজার ৮২৬ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৯৮ হাজার ৫৬৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩২০ পিস বিভিন্ন প্রকার অবৈধ ট্যাবলেট।’
এ সময় ১০ বিজিবি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ, সহকারী পরিচালক মো. ইমাম হোসেন, চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম, বিবিরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি খালেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।